নবনীতাকে খুব বোঝে জিতু, জানালেন খোদ নবনীতার মা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 16 Nov 2020, 04:49 PM ISTশ্বাশুড়ি মায়ের সঙ্গে জিতুর বেশ খুনসুটি আর মা-ছেলের সম্পর্ক।
শ্বাশুড়ি মায়ের সঙ্গে জিতুর বেশ খুনসুটি আর মা-ছেলের সম্পর্ক।
জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘দিদি নং ১’-এ শ্বাশুড়ি-জামাই জুটির খোলার পর্ব। সেখানে শ্বাশুড়িরে নিয়ে উপস্থিত টেলি ধারাবাহিকের অভিনেতা জিতু কমল। গল্প শোনালেন শ্বাশুড়ি-জামাই, কেমন তাঁদের সম্পর্ক। সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্বাশুড়িকে- জিতু জামাই হিসেবে কেমন জানতে চেয়ে প্রশ্ন করতেই, জিতুর শ্বাশুড়ি তথা টেলি অভিনেত্রী নবনীতার মা এক কথায় উত্তর দেন ‘ভালো’।
অন্যদিকে, জিতু তাঁর শ্বাশুড়িমাকে পুজোতে কী গিফ্ট দিয়েছে জিজ্ঞেস করতই, অভিনেতা লাফিতে উঠে উত্তর দেন, পুজোয় দেওয়া নেওয়া যায় না...। এদিকে আদুরে জামাইয়ের কথা শুনে শ্বাশুড়ি মা তো একেবারে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন। রচনা তো জিতুকে বকা দিয়ে চুপ করাতেই ব্যস্ত। তবে শ্বাশুড়ি মা কিন্তু আদুরে জামাইয়ে বিরুদ্ধে বলতে নারাজ। জ্বরের বাহানা দিয়ে জিতু কিন্তু শ্বাশুড়ি মা কে পুজোর গিফ্ট দেয়নি শুনে রচনা তো এক্কেবারে অবাক! রচনার চাপে পড়ে জিতু অবশ্য সকলের সামনে জানায়, সেদিনই সে শ্বাশুড়ি মাকে গিফ্ট কিনে দেবে।
জিতু কিন্তু তবুও রচনার হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে, করোনার ঘাঁড়ে সব দোষ চাপিয়ে দেয়। রচনা পাল্টা বলে, এখন তো প্যানডেমিক সিচুয়েশান চলছে না সব খোলা। তবে অভিনেতা জিতু তা মানতে নারাজ। সে কিন্তু সবার কাছে সিমপ্যাথি পাওয়ার চেষ্টা শুরু করে। তাঁর কাণ্ড দেখে দর্শক থেকে বাকি প্রতিযোগীরা এমনকি সঞ্চালিকা রচনাও হেসে লুটিয়ে পড়ে।
শ্বাশুড়ি সঙ্গে যে জিতুর বেশ খুনসুটি আর মা-ছেলের সম্পর্ক তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এমনকি শ্বাশুড়িকে দেবীর সঙ্গে তুলনা করে, নিজেকে একচালা ঠাকুরের চালা হিসেবে দেখিয়ে সে শ্বাশুড়ির পিছনে সটান দাড়িয়ে পড়ে। তাঁকে রচনা দুষ্টু ছেলের আখ্যা দেয়।
জিতুকে জানায়, তাঁকে নাকি সবাই জিজ্ঞেস করে, তাঁর শ্বাশুড়ি কেমন আছে? এত কিছুর শোনার পর শ্বাশুড়িকে রচনা প্রশ্ন করেন, এর পরেও কী জিতুকে ভালো বলবেন আপনি? শ্বাশুড়ি মা কিন্তু নিজের জামাইকে লক্ষ লক্ষ দর্শকের এক কথায় ভালো।
তবে, নবনীতাকে নাকি জামাইয়ের হাতে দিয়ে তিনি খুব খুশি নবনীতার মা জানান। কারণ জিতু নবনীতাকে নাকি খুব বোঝে তা স্পষ্ট করেন অভিনেত্রী নবনীতার মা। শ্বাশুড়ি কিন্তু জামাইয়ের খনসুটিতে ব্যতিব্যস্ত তা কার্যত স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, নবনীতা দাস ও জিতু কমল প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন স্টার জলসা-র ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকের শেষের দিকে এন্ট্রি হয় জিতু কমল-অভিনীত চরিত্রটির। গল্পের সেই মোড়ই শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত জীবনের মোড় নেয় জিতু-নবনীতার। ২০১৯ সালে ৮ মে, শুভ পরিণয় হয় তাঁদের।