গত কয়েকবছর ধরেই বেশ টালমাটাল কঙ্গনা রানাওয়াতের সিনেমার কেরিয়ার। তিনি যে রাজনীতিতে পা রাখবেন, সে ধারণাও ছিল। আর ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে তিনি তা সত্যও প্রমাণ করেছেন। আপাতত জমিয়ে নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত অভিনেত্রী। সামনে এল তাঁরই ঝলক।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে, মান্ডি লোকসভা আসন থেকে দাঁড়ানো ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রার্থী কঙ্গনা রানাউতকে, মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশের শিববাদরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা গেল। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে, অভিনেত্রী মেঝেতে বসে আছেন, পাশে দলের কর্মীরা। আর সকলে মিলে একসঙ্গে খাবার খাচ্ছেন।
সোমবার, কঙ্গনা সেখানকার জাগ্রত ভীমাকালী মন্দিরে প্রার্থনা করে তাঁর দিন শুরু করেছিলেন। এদিন 'কুইন' অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর। শুধু তাই নয়, নমো টি স্টলে চা পান করতেও দেখা যায় তাঁকে। এবং সমবেত জনতার কাছে তা পরিবেশনও করেন।
সিনেমার ব্যর্থতার কারণে রাজনীতিতে পা রাখা, এমন দাবি মানতে রাজি নন কঙ্গনা। কঙ্গনা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তাঁর রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্তটি বক্স অফিসে তাঁর সাম্প্রতিক ব্যর্থতার দ্বারা অনুপ্রাণিত নয়।
কঙ্গনা ইটাইমসকে হাইলাইট করেন যে চলচ্চিত্রে সাফল্যের গ্রাফের ওঠানামা একটি সর্বজনীন ঘটনা, যা শাহরুখ খানের কেরিয়ারও এসেছে। বরং নিজেকে কিং খানের সমন্তরালে ফেলেন তিনি। জানান যে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থানের কারণে, অভিনেতাদের কাছে এখন প্রতিভা প্রদর্শনের একাধিক উপায় রয়েছে। কঙ্গনা সঙ্গে নিজেকে এবং শাহরুখ খানকে 'তারকাদের শেষ প্রজন্ম' হিসেবেও উল্লেখ করেন।
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের এমার্জেন্সি ছবিটি। ভারতীয় জরুরী অবস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি এই সিনেমাতে কঙ্গনাকে দেখা যাবে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন অনুপম খের , শ্রেয়াস তালপাড়ে , মহিমা চৌধুরী এবং মিলিন্দ সোমান। ছবি পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন কঙ্গনা নিজেই। ২০২২ সালে শ্যুট শুরু হয়। যা শেষ হয় ২০২৩ সালে। তবে ডিসেম্বরে এমার্জেন্সির হলে আসার কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে যায়। আপাতত দেখার কবে নিজের পরবর্তী সিনেমা মুক্তি দেন অভিনেত্রী, বিজেপি নেত্রী কঙ্গনা।