কেষ্টপুর প্রফুল্লকানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দের মন্ডপে এবছর উঠে এসেছে পরিযায়ীদের গল্প। একঝাঁক পরিযায়ী শ্রমিকদের মাঝে শোভা যাচ্ছে আস্ত সোনু সুদের মডেল।কলকাতার এই পুজো উদ্যোক্তাদের এবছরের ভবানায় উঠে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পথচলা। লকডাউনে দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের যে যন্ত্রণার করুণ ছবি উঠে এসেছে তারই বাস্তব প্রতিফল এই পুজো মন্ডপে। বাদ যাননি পরিযায়ীদের ‘ভগবান’ সোনু সুদও। তাঁর আস্ত মূর্তি শোভা পাচ্ছে কেষ্টপুর প্রফুল্লকাননের পুজোয়। করোনাকালে যেভাবে দেশের আম জনতার পাশে দাঁড়িয়েছেন এই বলিউড তারকা, তাতে মুগ্ধ সকলেই। দেবী দুর্গা যেমন দশহাতে মানবজাতিকে রক্ষা করেছেন- তেমন দু-হাত দিয়েই মানুষের ত্রাতা হিসাবে এগিয়ে এসেছেন সোনু, তাই এই ট্রিবিউট- জানিয়েছেন ক্লাবের সম্পাদক রঞ্জিত চক্রবর্তী।
বুধবার সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে এই খবর পৌঁছে যায় সোনু সুদের কাছে। স্বভাবতই আপ্লুত তারকা। তিনি টুইট করে জানান- ‘এটা তাঁর জীবনে পাওয়া সেরা পুরস্কার’। করোনা সংকটে সবরকমভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা সোনু সুদ। সম্পূর্ন নিজের উদ্যোই পরিযায়ীদের নিরাপদে তাঁদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে বাস,ট্রেন কিংবা চার্টাড বিমানেরও ব্যবস্থা করতে দেখা গেছে সোনু সুদকে। সারাদিন নাওয়া-খাওয়া ভুলে দেশবাসীর পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী সোনু। সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনুর কাছে সাহায্য চাইলে কাউকেই নিরাশ করছেন না তারকা।
ক্লাবকর্তারদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ফোনে কথা হয়েছে সোনু সুদের। বুধবার রাতে সকলকে চমকে দিয়ে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠান সোনু। কেষ্টপুর প্রফুল্লকানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দের এই বছরের পুজোর থিমমেকার স্বপন চক্রবর্তী ওরফে কুট্টি। এই ভালোবাসায় মুগ্ধ সোনু জানান- ‘দুর্গাপুজোয় অবশ্যই আমি কলকাতা আসতে চাই, সবকিছু ঠিক থাকলে- পরিস্থিতি ঠিক থাকলে আমি নিশ্চিই কখনও কলকাতায় আসব’। কলকাতায় এলে কুট্টিজির কাছে রসোগোল্লা ও মিষ্টি দই খাওয়ার কথাও জানিয়েছেন সোনু।
ক্লাবের তরফে সম্পাদক রঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, আপাতত শ্যুটিংয়ের কাছে ব্যস্ত রয়েছেন সোনু সুদ। তবে শ্যুটিং শেষ হলে প্রফুল্লকাননের পুজোমন্ডপে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি- যদিও এই নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।