মোদক বাড়িতে মিঠাইয়ের বড় জা হয়ে এসেছে টেস। সোমের সঙ্গে বিয়ের সুসম্পন্ন তোর্সার। আর গোটা ঘটনায় বেশ বিচলিত সিদ্ধার্থ। মিঠাই-তোর্সার মধ্যে একটা কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধ বাঁধবে এমন আশঙ্ক্ষায় মূর্ছা যাওয়ার জোগাড় তাঁর। এর মাঝেই কালরাত্রিতে সিদ্ধার্থ আর মিঠাইয়ের ঘরে একসঙ্গে থাকবার কথা হয়েছে তোর্সা-মিঠাইয়ের। কিন্তু বউকে কাছছাড়া করতে চাইছে না সে। মিঠাইকে সে বলে, ‘দেখো ওই ঘরে আমার অনেক কাঁচের জিনিস আছে, শখ করে কেনা। আমি চাই না ওগুলো কেউ ভাঙচুর করুক। টেস তোমার দিকে কিছু ছুঁড়ে মারুক, তুমি টেসকে কিছু ছুঁড়ে মারো… তাহলে তো পুলিশ কেস হয়ে যাবে’।
পালটা মিঠাই বলে, ‘মার্ডার হয়ে যাবে বলছো…’। সিদ্ধার্থের গড়গড়িয়ে বলে চলে, ‘টেসের মাথার ঠিক নেই… তুমিও তো…’। বরের এমন ভাবনায় বেশ রাগ হয় মিঠাইয়ের। সে বলে, ‘মিঠাইকে তো অনেককিছুই বলা হয়, এটাও বলা হল মিঠাই মার্ডার করতে পারে। ঠিক আছে মিঠাইও আজ দেখিয়ে দেবে দাদুর নাতি যেটা বলছে সেটা ঠিক বলছে। আর দিদিমণি (টেস)-র পাশেই আজ মিঠাই ঘুমোবে আর একটা না একটা কাণ্ড তো করবেই’।
রুডি-কেও নিজের মনের ভয়ের কথা জানিয়ে দেয় সিদ্ধার্থ। তুফান মেল বেশ মর্মাহত উচ্ছেবাবুর ভাবনা নিয়ে। যোগ্য জবাব দিতে দুর্দান্ত ফন্দি আঁটে সে। শোবার ঘরে তোর্সার উদ্দেশে তাঁর বার্তা- ‘তোমার আজ যা ইচ্ছা হয় করো, মিঠাইয়ের নাকে বালিশ চেপে ধরো… কোনও বাধা দেবে না মিঠাই’। কিন্তু তোর্সা নিজের বাক্যবাণে মিঠাইকে বিদ্ধ করবার চেষ্টা করে। বলে, ‘তোমাকে কী সিড কোনওদিন ভালোবেসে কাছে টেনে নিয়েছে, তুমি নিজেই ভাবো যে তুমি ওর বউ… আসলে আরশোলাও ভাবে সে পাখি’।
তোর্সার এই লাইন শেষ হওয়ার আগে তাঁর গায়ে নকল আরশোলা ছেড়ে দেয় মিঠাই। এবং নিজেই বলে, ‘দিদিমণি আরশোলা’। বিছানায় বসে থাকা টেস লাফিয়ে উঠে চিত্কার শুরু করে আরশোলার ভয়ে।
তোর্সার চেঁচামেচিতে তুলকালাম কাণ্ড মোদক বাড়িতে। এমনকি কালরাত্রিতে বউকে উদ্ধার করতে ছুটে আসে সোম। সিদ্ধার্থ বলে, ‘এই বয়সে আরশোলার জন্য কেউ এমন চেঁচায়, এমন করছিস যেন ভূমিকম্প হচ্ছে’। এরপর নকল আরশোলা হাতে ধরে এনে ফের তোর্সাকে সবার সামনে ভয় দেখায় মিঠাই।
মিঠাইয়ের এই দুষ্টমিতে অবাক হল্লা পার্টিও। যদি তাঁর সাফাই, ‘না, মিঠাই দুষ্টুমি করেনি, সেটা করলে তো কাঁদিয়ে ছাড়ত’। কিন্তু দিদিমণি বকবকানিতে ক্লান্ত হয়েই এমনটা করেছে সে। যদিও সিদ্ধার্থকে মোক্ষম জবাব দিতেই এমন ফন্দি এঁটেছে সে তা বেশ স্পষ্ট। তবে মিঠাই-এর এমন কাণ্ডের পর সিদ্ধার্থের ঘরে শোবার প্ল্যান ছেড়ে সোমের ঘরেই কালরাত্রে থাকবার সিদ্ধান্ত নেই তোর্সা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সিদ্ধার্থও।