লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হয়েছিল নাসিরউদ্দিনের! রত্না পাঠককে দেখা মাত্রই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা! হ্যাঁ, এমনটাই জানালেন তিনি। কিন্তু যতই অভিনেত্রীর প্রেমে মজুক তাঁর মন রত্নার মা বাবার কিন্তু মোটেই পছন্দ হয়েছিল না তাঁকে। মেয়ের পছন্দকে মানতে পারেননি তাঁরা। আর মানবেনই বা কী করে! ড্রাগের নেশায় মত্ত, অল্প কথায় রেগে যাওয়া এক ডিভোর্সী পুরুষকে কেউ মেয়ের স্বামী হিসেবে মানতে পারে! ফলে প্রথমে নাকচ করে দিয়েছিলেন তাঁকে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এতদিন পর তাঁদের প্রেম করার সময় থেকে বিয়ে সবটা নিয়েই মুখ খুললেন বলিউডের এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
১৯৮২ সালের ২ এপ্রিল বেশ কয়েক বছর পর চুটিয়ে প্রেম করার পর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন রত্না এবং নাসিরউদ্দিন। নাসিরউদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান হিবা শাহ তখন তাঁর কাছেই থাকতেন। পরবর্তীতে তাঁদের দুজন ছেলে হয়, ইমাদ শাহ এবং ভিভান শাহ। বর্তমানে তাঁরা দুজনও অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত।
সম্প্রতি হিউম্যানস অব বম্বেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, 'আমরা বিয়ের আগে কখনও একসঙ্গে থাকিনি। কিন্তু ৭ বছর টানা প্রেম করেছি আমরা। যদিও ওর বাবা মা আমাদের সম্পর্ককে মেনে নেননি। আমি তখন নেশা করতাম, কথায় কথায় রেগে যেতাম। তাছাড়া এর আগেও আমার একটা বিয়ে ছিল।' তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'তবে বাবা মায়ের যতই আপত্তি থাক রত্না সেসবে মোটেই পাত্তা দেয়নি।'
কিন্তু কীভাবে বর্তমান স্ত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা? এই প্রসঙ্গে তিনি এই সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি ওকে যেই মুহূর্তে প্রথমবার দেখি, সেই মুহূর্তেই ওর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের যখন আলাপ হয় ততদিনে আমার প্রথম ছবি মুক্তি পেয়ে গিয়েছে আর ও সত্যদেব দুবের একটি নাটকে তখন কাজ করছে। আমার ওকে দেখেই মনে হয় এই মানুষটাকে জানা, চেনা প্রয়োজন আমার। ওরও আমায় ভালো লেগেছিল। আমাদের দেখা হওয়াটা না একটা আশীর্বাদের মতো ছিল। এরপর থেকে আমরা একে অন্যের পাশে সমস্ত ভালো মন্দয় থেকেছিলাম। আমার যে কোনও ওঠাপড়ায় ওকে পাশে পেয়েছি সবসময়ই। আর আমাদের সম্পর্ক এত মজবুত হওয়ার প্রধান কারণ হল আমরা প্রেমিক প্রেমিকা বা স্বামী স্ত্রী হওয়ার আগে ভীষণ ভালো বন্ধু।'
সম্প্রতি এই বর্ষীয়ান অভিনেতাকে জি ফাইভের সিরিজ ‘তাজ রেইন অব রিভেঞ্জ’-এ দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে রত্না পাঠকও সদ্য গুজরাটি ছবি ‘কাছ এক্সপ্রেস’-এর মাধ্যমে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ সারলেন।