বহুদিন পর বক্স অফিসে ভালো ফল করল অক্ষয় কুমারের কোনও সিনেমা। ৩ সপ্তাহে ওএমজি ২ ঘরে তুলেছে ১৪৫ কোটির কাছাকাছি। তবে এই সিনেমা নিয়ে নির্মাতা থেকে দর্শক, সবার একটাই আফশোস যে ছবিকে দেওয়া হয়েছে ‘A’ সার্টফিকেট। যৌন শিক্ষা নিয়ে তরুণদের কথা মাথায় রেখে যে ছবি বানানো, তা হলে গিয়ে দেখতে পারল না তরুণরাই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ছবির পরিচালক অমিত রাই-কে কথা বলতে শোনা গেল তিনি কীভাবে হাত জোড় করে অনুরোধ করেছিলেন সিবিএফসি-র কাছে যাতে এই সিনেমাকে অন্তত U/A সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এমনকী বহু এসএমএসও করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রসূন যোশির কাছে।
পরিচালক অমিত রাই-কে এক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, ‘আমার স্পষ্ট মনে আছে বেশ কয়েকবার আমি হাতও জোড় করেছিলাম ওদের কাছে।’ অমিত আরও জানান, ছবির স্ক্রিনিংয়ের পর সিবিএফসি বোর্ডের তরফে তাঁকে ওএমজি ২-কে ওটিটি-তে রিলিজ করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। অমিতের কথায়, ধরে নিলাম আমরা সেন্সরের জন্য আসিনি। প্রযোজকও ভেবে নিয়েছেন, এটাকে ওটিটি-তে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু তা তো নয়। ওএমজি ২-কে বানানোই হয়েছে সিনেমা হলের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে।
ওএমজি-র পরিচালক জানালেন, ছবির টিজার যখন সেন্সরশিপের জন্য যায়, সেই সময় এমন একটা দৃশ্য কেটে দেওয়া হয় যা পুরনো ওএমজি-তে ছিল। ২০১২ সালে যেটি হলে রমরমিয়ে ব্যবসা করেছিল।
অমিতকে ওমজি ২-তে কতগুলো কাট লেগেছে প্রশ্ন করলে জানান, ‘একটা সময় ওরা দেখে আমরা রোজ আসছি। এমন নয় ওরা নিষ্ঠুর। আমার মনে হয় তাঁদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিছু অতীত অভিজ্ঞতা ছিল। সরকার তাদের কিছু দায়িত্ব দিয়েছে এবং তাদের উপর চাপ তো আছেই।’
অমিত জানান, ছবি মুক্তির পরও সিবিএফসি-র কাছে তাঁর অনুরোধ ছিল, যেন তাঁরা এই ‘A’ সার্টিফিকেটের ব্যাপারটা আরও একবার ভেবে দেখেন। কারণ পারিবারিক দর্শকদের কথা ভেবেই ছবিটা বানানো হয়েছিল। কিন্তু নির্মাতাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
যদিও এত বাধা থাকা সত্ত্বেও দর্শকের ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছে ওএমজি ২। এমনকী, বেশিরভাগ চলচিত্র সমালোচকদের থেকেই পেয়েছেন তিন প্লাস রেটিং। হল ভিজিটের সময় খোদ অক্ষয়কেও ছবি ‘A’ সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে মস্করা করতে দেখা যায়। খিলাড়ি বলেছিলেন, ‘ওএমজি ২ তরুণদের জন্য বানানো এমন এক সিনেমা যা তরুণরাই দেখতে পেল না। সে যাই হোক আপনাদের কেমন লাগল ছবি? ভালো লেগেছে? অনেক ধন্যবাদ আপনারা ছবিটা দেখতে হলে এসেছেন আর এতটা পাশে থেকেছেন আমাদের।’