জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পুনম পান্ডের, শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আকষ্মিক এমন খবরে সকলেই তখন হতবাক! অনেকেই যেমন এমন খবরে মর্মাহত, কেউ কেউ আবার সন্দেহও প্রকাশ করেন। শুক্রবার দিনভর পুনমের মৃত্যুর খবর ঘিরে শোরগোল হওয়ার পর অবশেষে শনিবার পুনম পান্ডে নিজে ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান, ‘আমি বেঁচে আছি।’
আসল ঘটনা হল জরায়ুমুখের ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার প্রচারে নিজের মৃত্যুর নাটক করেছিলেন পুনম পান্ডে। বলেন, 'সবাইকে চমকে দেওয়ার জন্য দুঃখিত'। তবে পুুনম যাই বলুন না কেন, তাঁর এমন কাণ্ডে বেজায় বিরক্ত নেটপাড়া।
ক্ষুব্ধ নেটপাড়া
এক্স-এ এক নেটিজেন লেখেন, ‘পুনম পান্ডে বেঁচে আছেন। সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করা প্রশংসনীয়, তবে নিজের মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়ানো খুবই নিম্ম মানসিকতার, লজ্জার!’ একজন লেখেন, "হ্যাঁ হ্যাঁ! পুনম পাণ্ডে বেঁচে আছেন। জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মতো এমন গুরুতর বিষয়ের জন্য এমন সস্তার প্রচার খুবই লজ্জাজনক।' কেউ লেখেন, ‘যেমনটা ভেবেছিলাম, সেটাই হয়েছে, এ সবই ছিল পাবলিসিটি স্টান্ট! যাঁরা ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তাঁরা সকলেই ঠিকই বলেছেন’। কারোর কটাক্ষ, ‘পুনম পান্ডে সবচেয়ে বড় প্রতারক, তিনি বেঁচে আছেন। ছিঃ কী নির্লজ্জের মতো কাজ!’
এখানেই শেষ নয়, কেউ লেখেন, ‘এটা সবচেয়ে সস্তার প্রচার। এটা অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়।’ আরও একজন লিখেছেন, ‘মৃত্যু কি কোনও মজা নাকি? আপনি একাধিক উপায়ে সচেতনতা তৈরি করতে পারতেন। দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কতটা মরিয়া, ছিঃ’! এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।
এদিকে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার পুনম ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘আমি ক্ষমা চাইছি, আমার জন্য যে অসুবিধা হয়েছে, যাঁরা আমার জন্য আহত হয়েছেন। কিন্তু আমার অভিপ্রায় ছিল সকলকে শক দেওয়ার, কারণ আমরা সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতন নই। সেই কারণেই আমি মৃত্যুর মিথ্যে নাটক করেছি। জানি হয়ত বিষয়টা বাড়াবাড়ি, কিন্তু এর জন্য হঠাৎ করে জরায়ু-মুখ ক্যানসার নিয়ে কথা বলছে। এই রোগটা নিঃশব্দে বহু প্রাণ কাড়ছে। সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। আমি গর্বিত আমার মৃত্যুর ভুয়ো খবর যেটা করে দেখালো। যাঁরা আমাকে প্রশ্ন করতে চান, আমি উত্তর দেব হটারফ্লাই-তে লাইভে এসে’।