এবার মেয়েই হোক, এটাই তো চেয়েছিল পপি। সেই প্রার্থনা মতো চাউলিয়া পরিবারে লক্ষ্মীই এসেছে। তাই পরিবার এখন শুধুই খুশির হাওয়া। আনন্দ যেন ধরছে না। সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তান সহ বউমাকে বরণ করে ঘরে তুলেছিলেন পপির শাশুড়িমা।তারপর থেকে সেই 'অ্য়াঞ্জেল'কে নিয়েই প্রতিটা মুহূর্ত উদযাপন করছে চাউলিয়া পরিবার।
মেয়ের নামকরণ, থেকে ভাগ্য লিখন, প্রথম স্নান, সবই উঠে আসছে পপিস কিচেন ফ্যামিলি ভ্লগে। সম্প্রতি পপির সদ্য়োজাত কন্যার প্রথম স্নানের ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে Popi Kitchen Family Vlogs-এর ফেসবুকের পাতায়। যেখানে দেখা যায় প্রথা অনুযায়ী শিশুর আঁতুর কাটার পর পপির সদ্যোজাত কন্যার নখ-চুল কাটার বিষয়ে পপি ও তাঁর পরিবারের সদস্যর সঙ্গে কথা বলছেন। এরপরই পপির মেয়েকে দেখতে হাজির হয়ে যায় তাঁর দিদি। এরপরই দেখা যায় সেই মুহূর্ত।
যেখানে সদ্যোজাত, ঘুমন্ত মেয়েকে নিয়ে বাড়ির বাইরে উঠানে রাখা চেয়ারে বসেন পপি। তারপর নাপিত এসে পপি ও তাঁর মেয়ে নখ কেটে যান। পারিশ্রমিক হিসাবে তাঁকে ৫০০ টাকার নোট দিতে দেখা যায়। এরপর হলুদ, তেল মাখিয়ে সদ্য়োজাত সেই শিশুকে স্নান করাতেও দেখা যায় পপি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। স্নানেন পর পপির শাশুড়িমাকে পপির মেয়েকে নিয়ে ঘরে বসতে দেখা যায়। গ্রামীণ প্রথা মেনে তার কপালে পরতে দেখা যায় হিং-এর টিপ। তারপর পুকুরের সামনে পুজো ও রীতি পালন করতে দেখা যায় পপির বাড়ির সদস্যদের। পপিও তখন মেয়েকে নিয়ে ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আরও পড়ুন-‘বিধাতা ওর কপালে কী লিখেছেন কে জানে!’ কীভাবে হল পপির মেয়ের ভাগ্য লিখন অনুষ্ঠান?
গত বছরের শেষের দিকে মা হতে চলার সুখবর দিয়েছিলেন পপি কিচেনের মুখ পপি চাউলিয়া।গ্রাম বাংলার এই গৃহবধূ এখন সোশ্যাল মিডিয়ার অতি পিরিচিত নাম। ইউটিউবে রান্নার ভিডিয়ো বানিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন পপি। অতি সাধারণ শাড়িতে ঘোমটা টেনে প্রকৃতির কোলে তাঁর রান্না দেখতে অভ্যস্ত লাখো দর্শক। সম্পূর্ণ গ্রাম্য পরিবেশে, ঘরোয়া আয়োজনে, দেশি-বিদেশি নানা পদ নিজের হাতে রেঁধে, জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই ইউটিউবার। পুরনো দিনের রান্নার রেসিপি থেকে আজকের জেনারেশনের পছন্দের পিৎজা, সবই রান্না করেন পপি।
এদিকে জনপ্রিয়তার পাওয়ার সঙ্গে ইউটিউবে দুটি চ্যানেলের পাশাপাশি ফেসবুকে তিনটি পেজ খুলে ফেলেছেন এই ‘সহজ-সরল গ্রামের বউ’টি। একটির নাম ‘পপি কিচেন’। অপর দুটির নাম ‘পপি কিচেন ফ্যামিলি ভ্লগ’ ও ‘দ্য রিয়েল ভিলেজ কুকিং’।
এদিকে দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সিতে বেশকিছু জটিলতা থাকায় গত কয়েকটা মাস খুব সাবধানে কাটিয়েছেন পপি। ‘পপি কিচেন’-এর পপি অবশ্য গত কয়েকমাস রান্নার কাজে হাত দেননি। কারণ তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।