Youtuber Popi's Girl Child: ‘বিধাতা ওর কপালে কী লিখেছেন কে জানে!’ কীভাবে হল পপির মেয়ের ভাগ্য লিখন অনুষ্ঠান?

পপির স্বামী সুরজিৎ চাউলিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আজ ভাগ্য দেবতা এসে মেয়ের ভাগ্য লিখে দিয়ে যাবে। এটা পুরনো দিনের রীতিনীতি। তখন আঁতুর ঘরেতে ৭দিনের মাথায় ভাগ্য লিখন হত। তাই বই-খাতা, কালি দোয়াত আনতে হবে।’ এদিকে বাবা-মা যখন কথা বলে চলেছেন, তখন সুরজিৎ-পপির সদ্যোজাত কন্যাকে বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমতে দেখা গেল।

ছেলের কোলে মেয়ে হয়েছে। এটাই তো চেয়েছিলেন পপি ও তাঁর পরিবার। স্বপ্নপূরণ হওয়ায় চাউলিয়া পরিবারের এখন শুধুই খুশির হাওয়া। গত ৬ই এপ্রিল ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন গ্রাম বাংলার সুপারহিট ইউটিউবার। পাঁচ দিনের মেয়েকে নিয়ে পপি নিজের বাড়িতে রা রাখতেই পরিবারে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় নিজের মেয়েরও মুখও দেখিয়েছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার পপি। এবার পপির মেয়ের ভাগ্য লিখনের পালা। নিজের ভ্লগে পপি-কে বলতে শোনা যায়, ‘আমি আগের থেকে এখন অনেকটাই ভালো আছি। বাচ্চার যে ভাগ্য লিখন বলে না। আজ সেটা হবে।' তারপরই মেয়েকে আদর করে পপিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের পুচু সোনার আজ ভাগ্য লিখন হবে।… ছোটবেলায় এবিষয়ে অনেক শুনেছি। ভাগ্য লিখনে কালি, দোয়াত এসব লাগে। কীজানি বিধাতা ভাগ্যে ওর কী লিখেছে! বড় হয়ে ওর ভাগ্যে কী আছে!’ পাশ থেকে তখন পপির ছেলে অর্জুনকে বলতে শোনা যায়, ’ও বড় হয়ে ডাক্তার হবে।'

সদ্যোজাত মেয়ের কাণ্ড বলতে গিয়ে পপি বলে, ‘সারাদিন ঘুমবে, আর সারা রাত জেগে থাকবে। শুধু জেগেই থাকবে না, আমাদের ওকে কোলে নিয়ে ঘুরতে হবে। কিছুটা আমি জাগি, আর কিছুটা আমার বোন জেগে থেকে ওকে সামলায়।’

পপির স্বামী সুরজিৎ চাউলিয়াকে বলতে শোনা যায়, ‘আজ ভাগ্য দেবতা এসে মেয়ের ভাগ্য লিখে দিয়ে যাবে। এটা পুরনো দিনের রীতিনীতি। তখন আঁতুর ঘরেতে ৭দিনের মাথায় ভাগ্য লিখন হত। তাই বই-খাতা, কালি দোয়াত আনতে হবে।’ এদিকে বাবা-মা যখন নিজের ভ্লগে কথা বলে চলেছেন, তখন সুরজিৎ-পপির সদ্যোজাত কন্যাকে বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমতে দেখা গেল। সুরজিৎ ফের অনুরাগীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আমার অ্যাঞ্জেল এখন ঘুমোচ্ছে। কার মতো দেখতে হয়েছে একটু বলবেন তো, পপির মতো নাকি আমার মতো?’ বরের কথার উত্তরে পপি বলে, ‘এখন কেউ বলতে পারবে না, মুখ অনেক বদলাবে।’ ভ্লগের শেষের দিকে পপিকে মেয়ের মুখ মুছে পরিষ্কার করতে দেখা গেল।

প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে মা হতে চলার সুখবর দেন পপি চাউলিয়া। যাঁকে সকলে চেনে পপি কিচেনের মুখ হিসাবে। গ্রাম বাংলার এই গৃহবধূ এখন সোশ্যাল মিডিয়ার অতি পিরিচিত নাম। ইউটিউবে রান্নার ভিডিয়ো বানিয়ে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন পপি। অতি সাধারণ শাড়িতে ঘোমটা টেনে প্রকৃতির কোলে তাঁর রান্না দেখতে অভ্যস্ত লাখো দর্শক। ‘পপি কিচেন’-এর পপি অবশ্য গত কয়েকমাস রান্নার কাজে হাত দেননি। কারণ তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।