২ বছর ধরে তিল তিল করে ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’ তৈরি করেছেন রণদীপ হুডা। নিজের প্রথম পরিচালিত সিনেমা। তাই কোনওরকম কসরত বাকি রাখেননি। খুব যত্ন নিয়ে ছবিটা করেছেন। গত ২২ মার্চ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জীবন অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে বীর সাভারকরের চরিত্রে অভিনয় করছেন রণদীপ। ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’ ছবিতে রণদীপ হুডার সঙ্গে দেখা গিয়েছে অঙ্কিতা লোখাণ্ডেকেও। ছবিতে সাভারকরের স্ত্রী যমুনা বাঈয়ের চরিত্রে দেখা গিয়েছে অঙ্কিতাকে।
ছবি মুক্তির কয়েক দিন পরে নাসিকের ভাগুরে গিয়েছেন রণদীপ হুডা। বিনায়ক দামোদর সাভারকরের জন্মস্থান সেই জায়গা। সেখানের মানুষের সঙ্গে দেখাও করেন অভিনেতা। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট করেছেন তিনি। ভ্রমণের কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন।
রণদীপ লিখেছেন, ‘স্বাতন্ত্র বীর সাভারকরের জন্মস্থান পরিদর্শন করে এলাম। যার জীবন এবং গল্প সর্বদা রহস্য, সন্দেহ এবং বিতর্কে ঘেরা, প্রথমে ব্রিটিশদের দ্বারা এবং তারপর স্বাধীনতার পরে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের দ্বারা এবং তবুও যিনি হাল ছেড়ে দেননি। হুক বা ক্রুক দ্বারা যুদ্ধ, বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করা এবং প্রভাবিত করা, তার চলে যাওয়ার পরেও কয়েক দশক ধরে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়েছে’।
অভিনেতা-পরিচালক আরও লিখেছেন, ‘এই স্থানের শক্তি আরও সঞ্চার করেছে। যেখানে ত্যাগ ও সাহসকে কালা পানি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল এবং গৌরব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ভারতের প্রথম গোপন সমাজের বীজ রোপিত হয়েছিল ভাইদের দ্বারা শেষ নাম ... সাভারকার (ভারতীয় পতাকা) বন্দে মাতরম!’
শেষে লেখেন, ‘নম্র বোধ এবং ফিরে দেখা সেই সময়। ছবিটি মুক্তির পর থেকে তারা এক লাখের বেশি বই বিক্রি করেছে। নাসিকের শিবাজি চক ভাগুরে আরও বেশি লোকের বীর সাভারকরের স্মারক দেখতে আসা উচিত’।
মুক্তির অনেক আগে থেকেই ছবি নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিতর্ক। ছবির স্বত্ব নিয়ে আইনি জটিলতা থেকে শুরু করে মহেশ মঞ্জরেকরের পরিচালকের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো— সব মিলিয়ে বার বার শিরোনামে উঠে এসেছে ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর।’ তবে সব বিতর্ক সরিয়ে গত ২২ মার্চ মুক্তি পেয়েছে রণদীপের ওই ছবি। এই ছবির পরিচালনার সঙ্গে চিত্রনাট্য লেখার কাজ উৎকর্ষ নৈতাথানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করছেন রণদীপ নিজেই।