মা-কে নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বেশ কয়েকদিন আগেই অসুস্থ নন্দিতা সেনগুপ্ত (ঋতুপর্ণার মা)-কে গত ২৫ শে জানুয়ারি ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে। আপতত সুস্থ তিনি। তাহলে কীসের দুশ্চিন্তা অভিনেত্রীর?
এক হেলথ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ঋতুপর্ণা ও তাঁর পরিবারের। নায়িকার কথায়, বৃহস্পতিবার তাঁর মা-কে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় কিন্তু বিমা সংস্থা অসহযোগিতা করছে। ফলে শুক্রবার বিকালেও হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি, বাড়ি ফেরা হয়নি নন্দিতা দেবীর। জানা গিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঋতুপর্ণার মা। দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তবে গতকাল চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন, কিন্তু হাসপাতালের বিল মেটানোর সময় নাকি অসহযোগিতা করে মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঋতুপর্ণা ও তাঁর পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই।
ঋতুপর্ণা উত্তেজিত কন্ঠে জানান, ‘আমাদের সাংঘাতিক সমস্যা চলছে মেডিক্লেম সংস্থার সঙ্গে। আমার মা দু-দিন আগে রিলিজ হয়েছেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু ইনস্যুরেন্স কোম্পানি সমস্যা সৃষ্টি করছে বলে মা-কে বের করতে পারছি না। আমি চাইলে ব্যাপারটা সেটেল করে দিতে পারি। কিন্তু ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এত ফ্রড করার চেষ্টা করছে,তাই আমি অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিই।’ সংস্থার এজেন্টও গোটা ব্যাপারটার সঙ্গে যুক্ত দাবি অভিনেত্রীর। হতবাক অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে এমনটা ঘটলে, আমি জানি না অন্যরা কতটা নিরাপদ এই ব্যাপারে। আমি জানতে চাই, কীভাবে একজন বয়স্ক মহিলাকে এইভাবে হেনস্থা করছে কোম্পানি। ওদের সব নথিপত্র দেওয়া হয়েছে, যা চেয়েছেন। তারপরেও ওঁনারা হেনস্থা করে চলেছেন। এরফলে আমার মা ডবল অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমি দেখতে চাই ওঁরা কতদূর যেতে পারে’। ক্ষোভ ঝরে পড়ল কন্ঠে।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে সংশ্লিষ্ট এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা একদম শেষ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে। একটু সহযোগিতা করুন। ডঃ অর্ঘ্য মজুমদারকে আমরা একটা ডিক্লারেশন লেখাচ্ছি, স্যার লিখে দিলেই ক্যাসলেসের সমস্যাটা মিটে যাবে। আজকের মধ্যেই সবটার সমাধান হয়ে যাবে’। অভিনেত্রীর অভিযোগ নিয়ে পালটা কিছু জানাননি তিনি। মাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে ব্যক্তিগত কাজে শহরের বাইরে গিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। এই মূহূর্তে হাসপাতালেই রয়েছেন অভিনেত্রী।