বছরখানেক আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল আরজে অয়ন্তিকার একটি ভিডিয়ো। এক বেসরকারি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষা নিয়ে এক মন্তব্য তোলপাড় হয়েছিল চারদিক। ‘বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছাত্ররা কি কর্পোরেট হাউজে চাকরি করতে পারবে’ কথাটা যেন মানতে পারেনি বাঙালি। আপাতত বিতর্কের রেশ অনেক স্তিমিত। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের দিন এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে পুরনো বিতর্ক নিয়ে নতুন করে মুখ খুললেন অয়ন্তিকা।
অয়ন্তিকাকে বলতে শোনা গেল, ‘সোশাল মিডিয়ার সবারই কথা বলার অধিকার রয়েছে। কিন্তু যার ব্যাপারে কথা বলছে তাঁর আদতে ব্যাকগ্রাউন্ডটা কীরকম, তাঁর ভাষা নিয়ে চর্চা কতটা, সে কতটা ভাষা সম্পর্কে জানে, কেউ সেসব ভাবে না। আমরা যাঁরা প্রতিনিয়ত জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলি, তাঁরা নিজেদের এমনভাবেই তৈরি করেছি যাতে সহজে কমিউনিকেট করতে পারি।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘ছোট্ট বিষয়টাকে আউট অফ কনটেক্সট করে কুরুচিকর করেছিল যেই মানুষগুলো, সবারই তাঁদের চেনা উচিত। সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের সেনসেবল হতে হবে বলে আমি মনে করি।’
আয়ন্তিকা মনে করেন, মাতৃভাষা দিবস প্রত্যেক দিনই হতে হবে। আরও বেশি করে চর্চা করতে হবে এই ভাষা নিয়ে। ভাষাকে ভালোবাসা দিতে হবে, প্রাধান্য দিতে হবে। বাংলা ভাষাকে ‘খিচুড়ি’ না করে সবাইকেই চেষ্টা করতে হবে গোটা একটা বাক্য বাংলায় বলতে।
সঙ্গে তাঁর মত, ‘দেখুন বাংলা নিয়ে এত যাঁরা কথা বলছেন, তাঁরাও নিজেদের ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলেই পড়ায়। এটা কোনওভাবেই অন্যায় নয়। দিতেই হবে। কিন্তু, মুশকিল হল সত্যিটা স্বীকার করতে ভয় পান তাঁরা, এটাই আমার অদ্ভুত লাগে। ইংরেজিটা আসলে জানতেই হবে সকলকে। পারদর্শী হতে হবে। কিন্তু তাঁর মানে এই নয় মাতৃভাষাকে ভালোবাসা যাবে না।’