রেডি সিনেমায় তাঁর কমিক টাইমিং মন জয় করে নিয়েছিল সকলের, এই খুদে সহ-অভিনেতার প্রশংসায় শোনা গিয়েছিল ভাইজানেরে মুখেও। তবে মাত্র ২৭ বছর বয়সেই চলে গেল রেডি ছবির অমর চৌধুরী,অর্থাত্ অভিনেতা মোহিত বাঘেল। মারণরোগ ক্যানসার ফের কেড়ে নিল এক বলিউড অভিনেতার প্রাণ। গত কয়েক সপ্তাহে ক্যানসারের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ইরফান খান, ঋষি কাপুরের মতো তারকা থেকে শফিক আনসারি, সাই গুন্দেওয়ারের মতো অভিনেতারা। বি-টাউনে অব্যাহত ক্যানসারের ছোবল।
শনিবার মোহিতের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন ড্রিম গার্ল খ্যাত পরিচালক রাজ সান্ডিল্য।মোহিতের সঙ্গে কমেডি সার্কাসে কাজ করেছেন রাজ। মোহিতের মৃত্যুতে শোবস্তব্ধ এই পরিচালক। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, 'মোহিত, আমার ভাই, এত তাড়া ছিল তোর চলে যাওয়ার? আমি তোকে বলেছিলাম, তোর জন্য পুরো ইন্ডাস্ট্রি কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। তুই ভালো হলে, আমরা আবার কাজ শুরু করব। তুই খুব ভালো অভিনয় করিস এবং সেজন্য আমার পরবর্তী সিনেমার সেটেও তোর জন্য অপেক্ষা করব,আমি জানি তুই আসবি।’ রাজ সান্ডিল্যর পরবর্তী ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল মোহিতের।
রিয়ালিটি শো ছোঁটে মিঁয়াতে শিশুশিল্পী হিসাবে প্রথম নজর কেড়েছিলেন মোহিত। এরপর সলমন খানের রেডি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান মোহিত। জানা গিয়েছে গত ছয় মাস ধরে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিত্সা চলছিল মোহিতের। চিকিত্সায় সাড়াও দিচ্ছিলেন মোহিত। তবে আচমকাই সব শেষ হয়ে গেল।
সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও পরিণীতি চোপড়ার জবাড়িয়া জোড়িতেও অভিনয় করেছেন মোহিত। সহ অভিনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পরিণীতি। তিনি টুইট বার্তায় জানান, ‘যেসব ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মোহিত। সবসময়ই হাসিখুশি, ইতিবাচক ও উদ্দীপনায় ভরপুর ছিল ও। অনেক ভালোবাসা জানাই।ওর আত্মার শান্তি কামনা করি’।
১৯৯৩ সালে উত্তরপ্রদেশের মথুরায় জন্ম মোহিতের। বাড়িতে রয়েছে তাঁর বাবা-মা ও ভাই। রেডি,জবাড়িয়া জোরি ছাড়াও এক্কিশ তোপো কি সলামি, গলি গলি মে চোর হ্যায়ের মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন মোহিত। যশ রাজ ফিল্মসের পরবর্তী ছবি বান্টি অউর বাবলি টু'তে অভিনয়ের কথা ছিল মোহিত বাঘেলর। ইনস্টাগ্রামেও ভীষণ অ্যাক্টিভ ছিলেন মোহিত।