৫ জুলাই মা হয়েছেন সানা খান। বলিউড ছাড়লেও লাইমলাইট থেকে দূরে যাননি তিনি একেবারেই। চর্চায় থাকেন সবসময়। ছেলের ১ মাসের মাথায় দিলেন বড় খবর। তাও আবার স্তন্যপানকে ঘিরে। প্রেগন্যান্সির বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে তিনি হাতিয়ার করেছেন ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়ানোকেই।
‘সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর মতো ভালো অনুভূতি আর কিছু নেই। শিশুর সঙ্গে আপনার টান বাড়ায়। এটা জাদুকরী। আমি ভাবি এতদিন যে শরীরটা নিয়ে বাঁচলাম, মা হওয়ার পর তাতে কী আশ্চর্য পরিবর্তন। মা হওয়ার পরেই তো মাতৃদুগ্ধ আসে শরীরে। এটা আল্লার আশীর্বাদ ছাড়া আর কী বা হতে পারে।’, বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহে জানান সানা। ‘শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও স্তন্যপান করানো অপরিহার্য। নবজাতকের কাছে এর থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার আর কিছু হতেই পারে না। শিশুকে যেমন পুষ্টি দেয়, তেমনই অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শিশুর সামগ্রিক বিকাশে মায়ের দুধ অপরিহার্য’, নিজের বক্তব্য যোগ করেন সানা খান। আরও পড়ুন: ‘দেব-শুভশ্রীকে নিয়ে আবার ছবি বানাবেন?’, কী জবাব দিলেন রাজ চক্রবর্তী
সানা সঙ্গে জানান ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়ানো তাঁকে ওজন কমাতেও খুব সাহায্য করেছে। প্রাক্তন এই অভিনেত্রী জানান, ‘ডেলিভারির পর যখন সবাই ওজন কমানোর কথা বলে আমি বেশ ঘাবড়েই যাই। আর সবার মতো আমিও ওজন কমাতে চাই। কিন্তু তা কখনোই নিজের স্বাস্থ্য বা আমার সন্তানের যে পুষ্টির দরকার তার সঙ্গে আপোস করে নয়।’ আরও পড়ুন: মেষ থেকে মীন: এই ৬ রাশি ভালোবাসে বিলাসবহুল জীবন, খরচ করে লাগামছাড়া
সানা জানান, তাঁর সেই সমস্যারও সমাধান করে দেয় স্তন্যপানই। এই এক মাসে তাঁর ১৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। আরও পড়ুন: হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ ‘বীণাপাণি’ অ্যানমেরি, ভর্তি হাসপাতালে, কী হয়েছে অভিনেত্রীর?
২০২০ সালে মুফতি আনাস সইদকে বিয়ে করার আগে ১৫ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ার ত্যাগ করেন সানা। সানার স্বামী মৌলবী এবং ইসলাম ধর্মের গবেষক। বিয়ের পর থেকে হিজাব ছাড়া আর দেখা মেলেনি সানার কখনও। বিয়ের তিন বছরের মাথায় জন্ম দিলেন ছেলে তারিক জামিলের। একদম ১ দিন বয়স থেকেই ছেলেকে কোরান শোনানো শুরু করেছেন তিনি। তাঁর আর তাঁর স্বামীর মতো, তাঁদের সন্তানও যাতে ধর্মের পথে থাকে সেদিকে কড়া নজর নতুন মায়ের।