বক্স অফিসে অক্ষয় কুমারের সেলফির কপাল খুব মন্দ। ২০২২ সালেও সাফল্যের মুখ দেখেননি অক্ষয়। খবর বলছে ইমরান হাসমি-অক্ষয় কুমারের এই ছবিখানা প্রথম দিনে মাত্র ১.০৩ কোটির ব্যবসা করেছে। ছবির প্রযোজনা করেছে করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন ও পরিচালনার দায়িত্বে গুড নিউজ-খ্যাত পরিচালক রাজ মেহতা। সিনেমায় রয়েছেন নুসরত বারুচা ও ডায়না পেন্টিও।
ট্রেড অ্যানালিসিস্ট তরন আদর্শ টুইট করেছেন, ‘পিভিআরে ৬৪ লাখ, আইনক্সে ৪৩ লাখ, সিনেপলিসে ২৩ লাখ, মোট ১.৩০ কোটি। আশ্চর্যজনকভাবে সংখ্যা খুবই কম!’ সঙ্গে তিনি এখনও পর্যন্ত ২০২৩-এর অন্যান্য মুক্তিপ্রাপ্ত মেজর ছবিগুলির ওপেনিংও শেয়ার করেছেন টুইটে। আর তা হল- পাঠান: ২৭.০৮ কোটি, শেহজাদা: ২.৯২ কোটি
আর এই হিসেবে অক্ষয়ের এই সিনেমা তাঁকে সবচেয়ে খারাপ ওপেনিং দিয়েছে বিগত ১০ বছরে। আরও পড়ুন: ‘১০ লাখও হবে না…!’, অক্ষয় কুমারের সেলফি ‘ফ্লপ’, করণ জোহরকে দুষলেন কঙ্গনা
শুক্রবার রাতেই কঙ্গনা রানাওয়াত উপহাস করেন করণ জোহরকে নিয়ে। তাঁর শেষ ছবি ধকড়ের নাম না নিয়ে তা সেলফির সঙ্গে তুলনা করে কুইন নায়িকা লিখেছেন, ‘করণ জোহরের সিনেমা সেলফি মুক্তির দিনে ১০ লাখও ব্যবসা করতে পারেনি। দেখলাম না কোনও ট্রেড ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এই নিয়ে কথা বলছে। ওঁকে উপহাস করতে ভুলে গেছে, যেভাবে ওরা আমায় হয়রান করে থাকে।’
সঙ্গে ইনস্টা স্টোরিতে কঙ্গনা একটি সংবাদ প্রতিবেদনের স্ক্রিনশটও শেয়ার করে নেন। যেখানে অক্ষয় কুমারকে তাঁর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে একের পর এক ফ্লপ ছবি দেওয়া নিয়ে। সেই সংবাদের ক্যাপশনটি ছিল, ‘কঙ্গনা রানাওয়াতের পুরুষ সংস্করণ! সেলফি ফ্লপ করা নিয়ে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া, অক্ষয়ের ৬ নম্বর সিনেমা যা চলল না’। আর এখানে কঙ্গনা লেখেন, ‘আমি সেলফি ফ্লপ হওয়ার খবর খুঁজছিলাম। আর আমাকে নিয়ে খবর পেলাম… এটাও আমার ভুল’। সঙ্গে কতগুলো হাসির ইমোজি। এরপর জুড়ে দেন, ‘ বাহ ভাই করণ জোহর (শুভেচ্ছা)।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালটাও কপাল মন্দ ছিল বলিউডের খিলাড়ির। ৫টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল গত বছর। যার মধ্যে চারটি হলে মুক্তি পায়- বচ্চন পাণ্ডে, সম্রাট পৃথ্বীরাজ, রক্ষাবন্ধন, রাম সেতু। চারটিই সুপার ফ্লপ। পাঁচ নম্বরটি কাঠপুতলি মুক্তি পায় ওটিটি-তে। সেটি যদিও দর্শক দ্বারা বিশেষ প্রশংসা পেয়েছে। তবে বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখার সৌভাগ্য হয়নি তাঁর।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তো প্রায় কেঁদেই ফেলেছেন। বলতে শোনা যায়, ‘মা মারা যাওয়ার পর আমার একটা সিনেমাও হিট করেনি। এখনও শ্যুট শেষ করে মায়ের ঘরে গেলেই চোখে জল এসে যায়।’