মহাপঞ্চমীতে শুরু হয়েছিল মহাটক্কর। এই বছর দুর্গাপুজোয় অর্থাৎ ১৯শে অক্টোবর একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল চারটি বাংলা ছবি। কালীপুজোর দিনই 'টাইগার ৩' সুনামি আছড়ে পড়েছে বক্স অফিসে। সেই ধাক্কা সামলাতে বেগ পেতে হবে টলিউড তারকাদের। কালী পুজো পর্যন্ত কেমন ব্যবসা হল পুজোয় মুক্তি পাওয়া বাংলা ছবিগুলোর? সেই ছবিগুলোর বাজেটই বা কত? আরও পড়ুন-তৃতীয় সপ্তাহে জাতীয় মাল্টিপ্লেক্সে সবচেয়ে বেশি আয় রক্তবীজের, পিছনে ফেলল দশম অবতারকে!
পুজো রিলিজ ছবিগুলোর মধ্যে আয়ের নিরিখে এক নম্বরে থাকল প্রবীর-পোদ্দার জুটি। তৃতীয় সপ্তাহে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দশম অবতার’ বক্স অফিসে ৬ কোটির গণ্ডি পার করতে সফল হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে শুধু আয় নয়, এই ছবি বাজেটও দেবের ‘বাঘা যতীন’ এবং আবির-মিমির ‘রক্তবীজ’-এর চেয়ে কম। টলিবাংলা বক্স অফিসের তথ্যানুসারে ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি হয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি। অর্থাৎ বাজেটের দ্বিগুণ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে এই ছবির।
অন্যদিকে দেব নিজের মুখে জানিয়েছিলেন ‘বাঘা যতীন’-এর বাজেট ৫ কোটি টাকা। তাতে প্রমোশনের খরচও যুক্ত রয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি অভিনেতা-প্রযোজক। ‘বাঘা যতীন’-এর কালেকশন নিয়ে প্রযোজনা সংস্থার থেকে কোনওরকম তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের খবর বক্স অফিসে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা আয় করেছে এই ছবি (গ্রস কালেকশন)। ডিজিটাল, স্যাটেলাইট এবং মিউজিকের স্বস্ত্ব বেচে বাঘা যতীন প্রযোজক লাভবান হবেন তা বটে, কিন্তু বড় পর্দার দর্শক খানিকটা হলেও হতাশ করল দেবকে।
আবির-মিমির ‘রক্তবীজ’ এবার পুজোর বক্স অফিসের ডার্ক হর্স। শুরুটা একটু ধীমে তালে করলেও এই মুহূর্তে শো সংখ্যার নিরিখে কলকাতায় বাকিদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মিমি-আবিরের ছবি। বুক মাই শো-র তথ্য বলছে টাইগার ৩-র রমরমার মাঝেও বৃহত্তর কলকাতায় ১১টি শো চলছে এই ছবির। বাকিদের শো-এর সংখ্যা তার অর্ধেক।
খবর, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের এই ছবির বাজেট ৪ কোটি টাকা, এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি গ্রস কালেকশন খাগড়াগড় বিস্ফোরণ নিয়ে তৈরি এই ছবির। অর্থাৎ এখানেও আয়ের মার্জিন ‘দশম অবতার’-এর চেয়ে বেশ খানিকটা কম।
এই দিন ছবির ফিরে অনেকটাই ম্লান কোয়েল মল্লিকের ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’। আড়াই কোটি টাকা খরচ করে তৈরি অরিন্দম শীলের এই ছবি তেমন সাড়া ফেলতে ব্যর্থ। স্যাটেলাইট রাইটসের টাকা যোগ করে ৩ কোটি টাকা আয় করেছে এই ছবি।