অভিনয়ের জগত থেকে শতহস্ত দূরে, তবে টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত তারকা সন্তান অন্বেষা। অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা তিনি। ইনস্টাগ্রামে বেজায় অ্যাক্টিভ অন্বেষা। গ্ল্যামারে একে অপরকে টেক্কা দেন মা-মেয়ে। অন্বেষা কখনও বিকিনিতে ছবি দেন, তো কখন প্রেমিককে আগলে। হ্যাঁ, নিজের লাভ লাইফ নিয়ে খুল্লমখুল্লা এই তারকা কন্যা। আরও পড়ুন-‘পাবলিক ফিগাররা জনগণের বাবার সম্পত্তি…বিয়ে কি শুধু সেলেবদের ভাঙে?' আনকাট স্বস্তিকা
মায়ের মতোই শুরু থেকেই রাখঢাকহীন অন্বেষা। আপতত ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে সাইকোলজি নিয়ে মাস্টার্স করছে সে। পড়াশোনার ফাঁকে ইউরোপ ঘুর দেখতে ভোলেন না। সম্প্রতি কার্ডিফের এক অ্যাডাল্ট অনলি গলফ ক্লাবে হাজির হয়েছিলেন তিনি। নিয়ন আলোয় মোড়া গলফ ফ্যাং কার্ডিফের টুকরো ঝলক উঠে এসেছে অন্বেষার ইনস্টাগ্রামে।
এদিন অন্বেষার দেখা মিলল ফ্লোরার প্রিন্টেট শর্ট পার্টি ড্রেস আর লেদার জ্যাকেটে। পর্দা ঝুলছে ক্লাবের রুমের বাইরে। উপরে বড় বড় হরফে লেখা LIVE EXOTIC NUDE, সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দিলেন অন্বেষা। সঙ্গে জানিয়ে রাখছেন, সেই ক্লাবে পৌঁছে তাঁর মাথায় একমাত্র কীসের ভাবনা ঘুরছিল! খাবারের প্লেটই ছিল তাঁর যাবতীয় ধ্যানজ্ঞান। অন্বেষা লেখেন, ‘জানি না এক্সটিক বা ন্যুডের ব্য়াপারে, আমার তো একমাত্র চিন্তা ছিল ভালো খাবার’।
মেয়ের এই ছবিতে মুগ্ধ স্বস্তিকা। একদম জেন জেডের ভাষায় দিলেন জবাব। অভিনেত্রী লেখেন, ‘These photos are LIT’। জেন জেডের কাছ LIT অর্থাৎ ফাটাফাটি বা দুর্দান্ত। মেয়ের ছবি যে স্বস্তিকার দুর্দান্ত লেগেছে তা বুঝিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।
অভিনয়ের প্রতি কোনও টান নেই অন্বেষার। পরিবারের পরম্পরা বজায় রাখে বিন্দুমাত্র আগ্রহীও নন তিনি। কলকাতার ছেলে শ্লোক চন্দনের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ অন্বেষা। স্বস্তিকা ও প্রমিত সেনের একমাত্র মেয়ে অন্বেষা। বাবা-মার ডিভোর্সের পর মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন।
মেয়েকে নিজের মতো করে বড় হওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন স্বস্তিকা। বেছে নিতে দিয়েছেন পছন্দের কেরিয়ার। মাসখানেক আগেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অন্বেষার আপোসহীন মেজাজ নিয়ে স্বস্তিকা বলেন, ‘আমার মধ্যে যে সত্ত্বা রয়েছে ওর মধ্যে সেগুলো আরও বেশি করে থাকা উচিত। পৃথিবী যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে নিজের মতো করে জীবনটা গুছিয়ে নেওয়াটা জরুরি। আমি ওর বয়সে ওতো গুছানো ছিলাম না। সময় এগিয়েছে, অনেক বদল এসেছে। নিজের যা ঠিক মনে হবে সেটা করাটা জরুরি। তাছাড়া মায়ের সব বারণ শোনবার বয়সও ওর নেই।’