২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে হেরে যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে হারলেও বাঁকুড়ার মাটি কামড়ে গত দু-বছর পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর আশা ছিল বাঁকুড়া লোকসভা থেকে তাঁকে ২৪-এর টিকিট দেবে ‘দিদি’। কিন্তু সেই আশাভঙ্গ হতেই অভিমানী নায়িকা! তিনি দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব ছেড়েছেন, ইস্তফা দিয়েছেন- এমন ভুয়ো খবরও রটে যায় দিন কয়ে আগে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন সায়ন্তিকা। দলের উপর একগুচ্ছ অভিমানের মধ্যে কি সব ছেড়ে সংসারি হচ্ছেন তিনি? টলিপাড়ায় দীর্ঘদিনের ফিসফাস হাতে কাজ না থাকায় রাজনীতির ময়দানে সায়ন্তিকা। সেখানেও পায়ের মাটি শক্ত না হওয়ায় এবার ছাদনাতলায় অভিনেত্রী? জল্পনা উড়িয়ে সায়ন্তিকার জবাব, ‘সারাক্ষণ বাঁকুড়ার মাটি কামড়ে পড়ে থাকলে প্রেমটা করব কখন? আমি একেবারেই কারুর বউ হচ্ছি না। বিয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই’।
বাংলাদেশের নায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে সায়ন্তিকার ঘনিষ্ঠতার খবর মাস কয়েক আগেই উঠে এসেছিল দুই বাংলার সংবাদ শিরোনামে। সায়ন্তিকা সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি কারুর নামে মিথ্যে অপবাদ দিই না। জায়েদ খান ভীষণই ভালো একজন মানুষ। আমাকে সত্যি সাহায্য করেছেন। আমাকে সম্মান দিয়েছেন।’
সায়ন্তিকা জানালেন তাঁর কাছে পাত্র খোঁজার সময় নেই। এবং বাবা-মা'ও এখনই মেয়ের বিয়ে দিতে আগ্রহী নন। তিনি দরবার করে বলেন, ‘আমি তো সবসময় মিডিয়া বন্ধুদের বলি আমার জন্য পাত্র খুঁজে দিতে, সবাই দেবে বলে কিন্তু আর দেয় না। আমার তো পাত্র খোঁজার সময় নেই! ২৪ ঘন্টা বাঁকুড়ায় পড়ে থাকলে কোথা থেকে আমি প্রেম করব?’ এই মুহূর্তে সিঙ্গল হলেও সায়ন্তিকার জীবনে প্রেম আসেনি এমনটা নয়। এর আগে অভিনেতা জয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। যদিও তাঁদের ব্রেকআপ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
অন্যদিকে দলের প্রতিও এখন অভিমান গলেছে সায়ন্তিকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি স্পষ্ট জানান, ‘অপমান’ বা ‘আক্রোশ’-এর চেয়ে বেশি ‘ক্ষমা’ই শ্রেয়। নিজের ফিটনেস ট্রেনিং-এর একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন সায়ন্তিকা। তার ক্যাপশনেই লেখেন, ‘গ্রেস ওভার গ্রাজেস’। যার বাংলা তর্জমা করলে খানিক দাঁড়ায় ‘আক্রোশর উপরে ক্ষমা’। সুতরাং সব ভুলে নতুন শুরুর কথা নিজেই জানালেন তিনি।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট লাগার পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিমান দূরে সরিয়ে দিদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন সায়ন্তিকা। টিকিট না পাওয়ায় অভিমান ও খারাপ লাগা থাকলেও তিনি তৃণমূলেই আছেন স্পষ্ট বার্তা সায়ন্তিকার। টিভি নাইনকে তিনি জানিয়েছেন, ‘ভালবাসা থাকলে অভিমান থাকবে। একটা বিধানসভায় হেরে সাতটি বিধানসভায় এবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে দেখাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ আমাকে নিতে দেওয়া হল না।’
এবার বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন অরূপ চক্রবর্তী। পদ্মশিবির বাজি রাখছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের উপর।