নাকের বদলে নরুনেই সন্তুষ্ট থাকতে হল সায়ন্তিকাকে! আশা ছিল বাঁকুড়া থেকে লোসসভা নির্বাচন লড়বেন, কিন্তু সপ্তাহ তিনেক আগেই সেই স্বপ্নভঙ্গ হয় নায়িকার। প্রার্থী হতে না পারায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অভিনত্রী। এরপর সায়ন্তিকার বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাও শুরু হয়। কিন্তু নায়িকা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দলের বিরুদ্ধে অভিমান হয়েছে, সেটা দলকে জানিয়েছেন। তবে অন্য কোনও দলেই যাবেন না তিনি, দিদির পাশে আছেন।
আনুগত্যের দাম পেলেন সায়ন্তিকা। বাঁকুড়া লোকসভার বদলে বরানগর বিধানসভা উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করল শাসক দল। লোকসভার টিকিট না পেয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূলের তাপস রায়, সেই কারণেই বরাহনগর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। সায়ন্তিকাতে ভরসা রাখলেন অভিষেক-মমতা।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে হেরে যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে হারলেও বাঁকুড়ার মাটি কামড়ে গত দু-বছর পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এবার ময়দান পালটে গেল। তবে আত্মবিশ্বাসী অভিনেত্রী। টিকিট পেতেই ভিডিয়ো বার্তায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ দিলেন তারকা প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ আমার দলের কাছে। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বরানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আসনে তাঁরা যে আমার উপর বিশ্বাস এবং ভরসা করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চিত যে আমি জয়ী হয়ে এই আসনটি আমার দলের হাতে তুলে দিতে পারব।’
১লা জুন রয়েছে বরানগরে উপনির্বাচন হবে, জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের বিরুদ্ধে ভোট-যুদ্ধে টলি-সুন্দরী। এদিন ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার’ অভিযোগ এনে সায়ন্তিকা বলেন, ‘জনতার গর্জন হবে জমিদারদারে বিসর্জন। সবাই মিলে এই লড়াইয়ে জয়ী হব।’
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন সায়ন্তিকা। গত ১০ই মার্চ ব্রিগেডের সভা থেকে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। দিদির হাত ধরে ঘাসফুলে যোগ দেন দিদি নম্বর ১ রচনা, কেকেআরের প্রাক্তন তারকা ইউসুফ পাঠানরা। তবে শিকে ছেঁড়েনি সায়ন্তিকার।
ওইদিন বাঁকুড়া আসন থেকে প্রার্থী করা হয় অরূপ চক্রবর্তীকে। সভা শেষ হওয়ার আগেই মূল মঞ্চের সিঁড়ি দিয়ে নেমে ব্রিগেড ছেড়ে বেরিয়ে যান সায়ন্তিকা। বেশ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। পরে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দল তাঁকে লোকসভায় টিকিট না-দেওয়ার বিষয়টি আগেভাগে জানিয়ে দিতে পারত। তবে অভিমান সত্ত্বেও দিদির বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেননি সায়ন্তিকা। বরং মমতার চোট পাওয়ার খবরে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন। এবার বরানগরে ফের ঘাসফুল ফোটানোর গুরু দায়িত্ব সায়ন্তিকার কাঁধে।