স্টার কিডদের সিনেমা বা সিরিয়ালে সুযোগ পাওয়া অনেক সহজ বলে মনে করা হয়। তবে অনেকেই আছেন, যাদের কাছে বংশ পরিচয় ‘বোঝা হয়ে আসে’ অনেকখানিই। ক্রমাগত তুলনা টানা হতে থাকে সংবাদমাধ্যমে, নেটপাড়াতে।
এই খুদের সঙ্গেও কিন্তু তেমনটাই হয়েছে। নিজে টলিউডের নামী নায়িকা। বলিউডেও কাজ করেছেন। তবে কথায় কথায় মা নয়, বরং ঠাকুমার সঙ্গেই বেশি তুুলনা টানা হতে থাকে। পারছেন ছোটবেলার ছবি দেখে এই সুন্দরী অভিনেত্রীকে চিনে নিতে?
টলিউডের অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহুজন প্রেমচর্চা চালায় এই নায়িকাকে নিয়ে। আসলে পর্দায় হিট তাঁদের জুটি। আর স্ক্রিনে তাঁদের সেই জুটি এতটাই জনপ্রিয় যে, বাস্তবেও তাঁদের প্রেম নিয়ে রয়েছে নানা কিস্সা। যা বেশিরভাগটাই অনুরাগীদের মন গড়া। দ্যা জাপানিস ওয়াইফের মতো কালজয়ী ছবির অভিনেত্রী। বুঝলেন কার কথা হচ্ছে?
আরও পড়ুন: ‘মনে ওরই ছবি…’, সুবানের পর ‘ছাড়াছাড়ি’ সোহেলের সঙ্গেও, কী বলছেন তিয়াসা?
এই সুন্দরী আর কেউ নন, রাইমা সেন। সুচিত্রা সেনের নাতনি, মুনমুন সেনের কন্যা। মুনমুন ও ভরত দেব ভর্মার বড় মেয়ে তিনি। ছোট বোন রিয়াও রয়েছেন শোবিজের দুনিয়াতেই। গডমাদার সিনেমা দিয়ে তিনি পা রেখেছিলেন অভিনয় জীবনে। ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি চোখের বালি তাঁকে দেয় অপার জনপ্রিয়তা। ‘বং কানেকশন’ ছবিতে ব্যাপক প্রশংসা কুড়োয় রাইমা আর পরমব্রতর জুটি।
রাইমা আর পরমব্রতর অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি এতটাই জনপ্রিয়তা পায় যে, তাঁদের নিয়ে বানানো হতে থাকে একের পর এক সিনেমা। ‘হাওয়া বদল’, ‘২২শে শ্রাবণ’, ‘মি আমোর’, ‘বাস্তশাপ’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘দ্বিতীয় পুরুষ’ রয়েছে সেই তালিকায়।
রাইমা-কে সম্প্রতি দেখা গিয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর সিনেমা দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার-এও। ছবি বক্স অফিসে সাফল্য না পেলেও, সমালোচকদের কাছে প্রশংসিত হয় রাইমার কাজ।
তবে শুধু সুচিত্রা সেনের নাতনি বা মুনমুন-কন্যাই নয় তাঁর বংশ পরিচিতি, রাজপরিবারের সঙ্গেও রয়েছে স্ট্রং কানেকশন। বাবা ভরত দেববর্মা ত্রিপুরার রাজ পরিবারের একজন সদস্য। মাতামহী ইলা দেবী কোচ বিহারের রাজকুমারী ছিলেন। আর ইলা দেবীর বোন গায়ত্রী দেবী জয়পুরের মহারানী ছিলেন। তার পিতামহী ইন্দিরা ছিলেন বড়োদার মহারাজা সায়াজিরো গায়কোয়াড়ের একমাত্র মেয়ে। সিনেমার জন্য দুই বোনই ব্যবহার করেন মায়ের পদবী। যদিও কাগজ-কলমে তাঁদের পদবি যদিও দেববর্মা।