আলাপ যখন হয়েছিল তখন তাঁরা কিশোর-কিশোরী। তাঁদের প্রথম দেখা হয় একটা আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায়, তারপর আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। এর ঠিক ১০ বছর পর মার্কিন মুলুকে আবারও দেখা হয়েছিল এষা দেওল ও ভরত তখতানির। তখন থেকেই প্রেমের শুরু। ২০১২ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন হেমা কন্যা এষা ও ভরত। তাঁদের দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে তারপরেও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারলেন না এষা-ভরত।
সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া ভরত তখতানির পুরনো একটি সাক্ষাৎকার। যদিও বিয়ের পরপর সেই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন ভরত। সেখানে এষাকে অত্যন্ত 'পজেসিভ' প্রকৃতির বলে জানিয়েছিলেন ভরত। তাঁর কথায়, ‘আমিও পজেসিভ তবে ওর মতো অতটাও নয়। ও আমাকে অষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে।’ অর্থাৎ ভরতের কথায়, এষার তাঁর উপর অধিকার বোধ একটু বেশিই ছিল।
সাক্ষাৎকারে ভারত জানিয়েছিলেন, তাঁদের মাঝে মধ্যে মতবিরোধ হয়। এষার অভ্যাস তর্ক করতে থাকা। তবে ঝগড়ার পর এষাই আবার সবকিছু ঠিক করে নিতে সচেষ্ট হন বলে জানিয়েছিলেন ভরত। ভরতের কথায়, ‘যদিও তর্ক হয়, তবে আমিই সর্বদা তাতে প্রথম হই।’ তবু ভরত বলেছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে একটা সূক্ষ্ম বোঝাপড়া রয়েছে। ঝগড়ার পর তাঁরা নিজেরাই তা মিটিয়ে নিতে সচেষ্ট হন।
এখন তাই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ভরতের প্রতি এষার অতিরিক্ত অধিকার বোধ (পজেসিভ স্বভাব)ই তাঁদের বিচ্ছেদের কারণ হয়ে উঠেছে। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে, এষা-ভরতের বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণ নাকি ভরত তখতানির নতুন প্রেমে পড়া। জানা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুতে ভরতের নাকি নতুন বান্ধবী জুটেছে। যদিও পারস্পরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন ভরত-এষা।
বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে এষা ও ভরত যৌথ বিবৃতি দেন, ‘আমরা পারস্পরিক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের এই পর্যায়ে এসেও আমাদের দুই সন্তান যাতে ভালো থাকে, সেটাই এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আশা রাখি আমাদের এই গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো হবে।’ তবে এরপরেও তাঁদের বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ কী, তা জানতে কৌতুহলী হয়ে পড়েছেন অনুরাগীরা।
এদিকে আবার ২০২০ সালে প্রকাশিত এষা দেওলের বই ‘আম্মা মিয়া’র বেশ কিছু লাইন সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে অভিনেত্রী লিখেছেন, '২০১২ সালে আমাদের যখন বিয়ে হল তখন অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছিল। বিয়ের পর যেহেতু ওর পরিবারের সঙ্গে থাকতাম তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি আর আগের মতো শর্টস আর গেঞ্জি পরে ঘরে ঘুরে বেড়াতে পারতাম না।' একই সঙ্গে এষা সেখানে জানিয়েছিলেন বিয়ের আগে তিনি কিছুই কখনও রান্না করেননি। বিয়ের পর সেটা করতে হতো। ভাইরাল হয়েছে এমনই নানান কথা।