সদ্য মুক্তি পেয়েছে অর্জুন রামপাল, বিদ্যুৎ জামওয়াল এবং নোরা ফাতেহি অভিনীত ‘ক্র্যাক’-এর ট্রেলার। আর এই ছবিতে রয়েছে একাধিক অ্যাকশন দৃশ্য। অভিনেতা অর্জুন রামপালের কাছে সিনেমার স্টান্ট কোনও ব্যাপারই নয়, এমনটাই তো জানেন সকলে। তবে ‘ক্র্যাক’ ছবিতে কাজ করার সময় স্টান্ট করাই নাকি সবথেকে মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্জুনের কাছে। কিন্তু কেন?
অর্জুন রামপাল জানিয়েছেন, তিনি নাকি ‘ক্র্যাক’-এর শ্যুটিংয়ের সময় স্লিপড ডিস্কে ভুগছিলেন। সেই কঠিন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে অর্জুন বলেন, ‘আমি আমার ছবিতে বেশিরভাগ সময়ই স্টান্ট করার চেষ্টা করি। ক্র্যাক ছিল শারীরিকভাবে আমার কাছে সবথেকে চ্যালেঞ্জিং একটা ছবি। আমাদের বলা হয়েছিল যে প্রচুর অ্যাকশন থাকবে এবং এটিা দারুণ কিছু হবে। আমাকে বলা হয়েছিল, যে আমি এই সব কিছুই করতে সক্ষম হব। কিন্তু যখন আমি বিদ্যুৎকে আলিঙ্গন করছি, তখন এমন একটা পেশী অনুভব করছি যা আদৌ মানুষের দেহে থাকে বলে আমার জানাই ছিল না। আমি বেশ ফিট একজন মানুষ, অথচ সেই আমারই তখন মনে হয়েছিল ও কী ধরনের প্রাণী? আমাকে সত্যিই নতুন করে খেলা শুরু করতে হয়েছিল।’
আরও পড়ুন-'শাস্ত্রী'র টাইটেল কার্ডে নাম, তবু খরাজ বলছেন, ‘আমাকে কাজের কথা কেউ কিছুই জানাননি’!
অর্জুন বলেন, ‘এই ছবিটি যেমন আমায় অনুপ্রাণিত করেছে তেমনই ভয়ও পাইয়ে দিয়েছে। সমস্ত লোকজনকে নিজেদের কাজ করতে দেখে আমি ক্রমাগত নিজেকে ধাক্কা দিতে থাকি। নিজেকে বোঝাতে হয়েছিল আমি আবারও এটা করতে চাই। কারণ, তখন আমি স্লিপড ডিস্কের শিকার হয়েছিলাম এবং এক্কেবারেই বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ি। আমি সুস্থ হয়ে না ফেরা পর্যন্ত নির্মাতারা আমায় দুই -তিন সপ্তাহের জন্য সময় দিতে চেয়েছিলেন। তবে হ্যাঁ, আমাকে এটা করতেই হত। শেষ দিনে, বিদ্যুৎ আমাকে সেখানে ফেলে যায়নি কারণটা সেই ডিস্ক, যেগুলি মেরামত করতে হয়েছিল। আমাকে হাসপাতালে ফিরে যেতে হয়েছিল। তাই ক্র্যাক আমার কাছে এমনকিছু, যা আমি কোনও কিছুর বিনিময়ে ঠিক করতে পারব না!।’
এদিকে নোরা ফাতেহিও জানিয়েছেন, তিনি কীভাবে ক্র্যাক-এর সেটে আহত হয়েছিলেন। নোরা জানিয়েছেন তিনি বডি ডাবল ছাড়াই সমস্ত স্টান্ট করেছেন।
নোরার কথায়, ‘অর্জুন (রামপাল) স্যার স্টান্ট করছিলেন, বিদ্যুৎ (জামওয়াল) স্যারও স্টান্ট করছিলেন, তাই আমিও ডাবল ছাড়াই স্টান্ট করতে চেয়েছিলাম। বিদ্যুতের সঙ্গে একটা দৃশ্যে আমরা দুজনেই দ্রুত যাচ্ছিলাম, হঠাৎ আমি পড়ে গেলাম। যাইহোক, বিদ্যুৎ খুবই দ্রুত গতিতে যাচ্ছিলেন। আমাদের দুজনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওঁর কোমরে দড়ি বাঁধা ছিল আর আমিও ওঁর পিছনে ছিলাম। তাই আমি কখন পড়েছিলাম, উনি জানতেনই না। উনিই আমাকে টেনে নিয়ে গেলেন, তাও সেটা পুরো কংক্রিটের রাস্তা বরাবর…। আমি চিৎকার করছিলাম তখন উনি থামলেন। সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন আমি ঠিক আছি কিনা। আমি ঠিক ছিলাম না, আমি আমার ভ্যানিটিতে ভ্যানে উঠে শিশুর মতো কেঁদেই চলেছিলাম।’