ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। বড়দিন, নতুন বছরের ছুটি পড়তে আর বেশি দিন নেই। ছুটিটা কোথায় কাটাবেন ভাবছেন? চোখ বন্ধ করে চলে যান ধোত্রে। না এটা নেহাতই কথার কথা। ধোত্রেতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখা যায় না। প্রকৃতি যে এত সুন্দর, কাঞ্চনজঙ্ঘা যে এত সুন্দরী, পাহাড়ের মানুষ যে এত সরল তা বোধ হয় ধোত্রে না এলে জানাই যেত না।
পাহাড়ের কোলে, নির্জন নিরিবিলিতে শান্ত গ্রাম ধোত্রে। একাধিক হোম স্টে গড়ে উঠেছে। দিন কয়েক থেকে যান সেখানেই। হোমস্টের জানালা খুললেই কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর ভাগ্য ভালো থাকলে বছর শেষে বরফের দেখাও পেতে পারেন। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কাঞ্চনজঙ্ঘাও বেশ স্পষ্ট। ক্ষণে ক্ষণে বদলায় পাহাড়ের রূপ। আর ধোত্রে থেকে দেখুন কেমন ভোর থেকে বেলা পর্যন্ত বদলে যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সঙ্গের ছবিটা সম্প্রতি তোলা।
প্রায় সাড়ে আট হাজার ফুট উচ্চতায় এই সুন্দরী গ্রাম। কাছেই পাইন গাছের ঘন জঙ্গল। অজস্র নাম না জানা পাখির সমাহার। মন একেবারে অন্য়রকম করে দেবে। সেই সঙ্গেই যেদিকে দুচোখ যায় শুধুই সবুজ আর সবুজ। এখান থেকেই সান্দাকফু ট্রেক করেন অনেকে।কাছেই টুমলিংও আছে। এখান থেকে ট্রেকিং করে টুমলিং ঘুরে আসতে পারেন। পাহাড়ি পথে বেশ ভালো লাগবে।
তবে শীতের সকালে-রাতে তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি নেমে আসছে। সেক্ষেত্রে শরীর গরম রাখার উপযোগী গরম জামাকাপড় নিয়ে যেতে ভুলবেন না। কয়েকদিন আগেই টুমলিংয়ে বরফ পড়েছিল। ধোত্রেতেও বছরের শেষে বরফের দেখা পেতে পারেন। আর ভাগ্য ভালো থাকলে রেড পান্ডার দেখাও পেতে পারেন এখানেই।
এনজেপি থেকে ধোত্রে প্রায় ১০০ কিমি। এনজেপি বা বাগডোগরা থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে ধোত্রে যেতে পারেন। তবে সস্তায় ধোত্রে পর্যন্ত যেতে চাইলে দার্জিলিং মোড় থেকে শেয়ার গাড়িতে যান। ৬০০ টাকাতেই ধোত্রে চলে যেতে পারবেন। একটু ঠেসাঠেসি হবে। শীতের দিনে খারাপ লাগবে না। মানেভঞ্জন থেকে প্রায় ১৪ কিমি আর টুমলিং থেকে ৬ কিমি দূরে এই ধোত্রে। শীতের বেড়ানোর জন্য় উপযুক্ত জায়গায় এই ধোত্রে।