শীত এসেছে। দার্জিলিং পাহাড়ে বেশ ঠান্ডা। সামনেই বড়দিন। তার আগেই শুরু হয়ে গেল ঘুম উইন্টার ফেসটিভাল। ঘুম শীতকালীন উৎসব। নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে। এই সময় দার্জিলিং বেড়াতে গেলে বড় পাওনা এই ঘুম উইন্টার ফেসটিভাল। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে( DHR) এই ঘুম শীতকালীন উৎসব আয়োজনের ক্ষেত্রে বড় সহায়তা করে।
২৫ নভেম্বর থেকে এই ঘুম শীতকালীন উৎসব শুরু হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। ঘুম রেলস্টেশন চত্বরে বসেছে এই উৎসবের আসর। তৃতীয়বারের জন্য এই উৎসবের আয়োজন করা হল। নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। রোজই এই উৎসবে ভিড় করছেন পর্যটকরা. এই সময় দার্জিলিং বেড়াতে গেলে এই উৎসবটা মিস করবেন না।
এদিকে গত বছরেও এই উৎসব উপলক্ষ্যে রাতে টয়ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্পেশাল নাইট জয়রাইড। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। সময়সারণীর জন্য ডিএইচআর ও নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
তবে শুধু মায়াবী রাতে টয়ট্রেনে চেপে পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতা অর্জনের টানেই নয়, এই ঘুম ফেসটিভালকে ঘিরে এমন একাধিক বিষয়কে সামনে আনা হয় যা বছরের অন্য় সময় এলে পর্যটকরা তার স্বাদ নাও পেতে পারেন।
নভেম্বর মানেই ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমনকী সম্প্রতি শিলিগুড়ি শহর থেকেও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে মাঝেমধ্য়ে। আর নভেম্বরে সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার টানেই অনেকে পাহাড়ে ছুটে আসেন। তবে এবার এই সময় পাহাড়ে বেড়াতে এলে বাড়তি পাওনা ঘুম উইন্টার ফেসটিভাল।
ঘুম, দেশের সবথেকে উচ্চতম স্থানে থাকা স্টেশন। প্রায় ২২৫৮ মিটার উচ্চতায় রয়েছে এই স্টেশন। সেখানেই উৎসবের আয়োজন। কী কী থাকছে এই উৎসবে?
এখানে নানা ধরনের স্থানীয় খাবার পাওয়া যাবে। মোমো খান মন ভরে এই উৎসবে। সেই সঙ্গেই স্থানীয় হস্তশিল্পীদের নানা হাতের কাজ মিলবে এখানে। স্থানীয় শিল্পীদেরও এই উৎসবের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। উৎসব প্রাঙ্গনে পাহাড়়ি খাবারের স্টল, প্রদর্শনী, হস্তশিল্পের স্টল থাকছে। সেই সঙ্গে ট্যালেন্ট হান্ট কমপিটিশনও হয় এই সময়।
এই সময় সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয় ঘুম স্টেশনকে। বড়দিনের আগে থেকেই ঝলমল করে দার্জিলিং। সেই খুশির শরিক হতে পারেন আপনিও।