গরমের বিকেল মানেই, পার্কে যান বা মাঠে, সন্ধ্যের দিক থেকে মাথায় কালো চুলের উপরে ভন ভন করে ঘুরতে থাকে মশার ঝাঁক! আবার কখনও বাড়িতে বসে আড্ডার মেজাজে রয়েছেন, তখন হাতে পায়ের মশাকে মারতেই কেটে যায় অর্ধেক সময়। তবে সবচেয়ে বিরক্তিকর হল মশারির মধ্যে রাতের গাঢ় ঘুমের সময় মশার উপদ্রব! সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে বাড়িতে এই নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে ফেলুন।
মশা ঢোকার পথ বন্ধ
অনলাইনে অর্ডার দিলেই পেয়ে যাবেন ডোর স্ট্রিপ। দরজা বা জানলার ফাঁকফোকড় এই দিয়ে বন্ধ করুন। এছাড়াও বাড়িতে বাগান থাকলে, জানলায় নেট লাগিয়ে নিতে পারেন। তাতে মশা বাবাজির আসার পথ খানিকটা রুদ্ধ হবে।
জমা জলে ফেলুন সাবান
বাড়ির যে জলা জায়গায় মশার উপদ্রব বাড়ছে, সেখানে কিছুটা গুঁড়ো সাবান ফেলে দিন। সাবানের ফ্যানা হলে তো কথাই নেই। মশা জলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বসলেই মরে যাবে!
মশা তাড়ানোর গাছ
এমন বহু ধরনের গাছ বাজারে পাওয়া যায়, যারা মশা তাড়াতে উপকার দেয়। বাড়িতে, তুলসী, লেমনগ্রাস, সিট্রোনেলা,পুদিনা, ক্যাটপিনের মতো গাছ লাগাতে পারেন। বলা হয়, এতে কমে যায় মশার উপদ্রব। মশা তাড়াতে এদের জুড়ি মেলা ভার!
লেবু লবঙ্গ
মশা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে।
লেবু আর লবঙ্গের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। এজন্য লেবুর রসে খানিকটা লবঙ্গ গুঁড়ো মিশিয়ে বাড়ির তারদিকে ছড়িয়ে দিন। মশা বাড়ি ছাড়া করতে এই উপায়ও খুবই কার্যকরী। এছাড়া লেবুর টুকড়ো আর লবঙ্গ বাড়িতর কোণে এমনিতেও রেখে দিতে পারেন, তাতে চলে যায় মশা।
স্প্রে
মসকিউটো রিপেলেন্টে সমস্যা অনেকেরই থাকে। সেক্ষেত্রে গার্লিক স্প্রে কার্যকরী। কয়েক কোয়া রসুন থেঁতো করে তা জলে ফুটিয়ে বাড়িতে স্প্রে করে ফেলুন। মশা বাবাজীবন এতে পালাবে!
আপনার দিকেই কি মশা তেড়ে আসে?
অনেকেরই দাবি, তাঁকে দেখলেই মশা তাঁর দিকেই তেড়ে আসে। আর এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে, গায়ে লাগিয়ে নিন নারকেল তেল ও নিমের মিশ্রণ। টানা ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই তেল কার্যকরী ফল দেয়। এছাড়াও লেবু ও এসেনশিয়াল অয়েল যেমন টি ট্রি বা পিপারমিন্ট অয়েল জলে মিশিয়ে স্প্রে করুন। মিলবে ফল।
ঘর মোছার সময়...
মশা মারার জন্য কয়েলের জায়গায় কর্পূর জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। আবার ঘর মোছার সময় জলে কর্পূর মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে বাড়িতে মশার উপদ্রব কমে যায়।