ওমিক্রন নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। কারণ ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা বিপুল গতিতে বাড়তে শুরু করেছে। এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে, কোভিড পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়লেও তা ওমিক্রন কি না, ধরতে সময় লাগছে। কারণ তার জন্য যে genome sequencing দরকার, তা সব জায়গায় হচ্ছে না। এবার সেটাই সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ ওমিক্রন পরীক্ষার কিট ওমিসিওর আসছে বাজারে। মঙ্গলবার এমনই জানা গেল।
ওমিসিওর তৈরি করেছে টাটা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস (Tata Medical & Diagnostics) । এটির অনুমোদন দিয়েছে আইসিএমআর ( Indian Council of Medical Research )। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুমোদনপত্র দেওয়া হয়েছে। এই কিট বাজারে এলে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ভারতে ওমিক্রনের সূত্র ধরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তার ভয়াবহতা কমাতে ইতিমধ্যেই দেওয়া শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ। কিন্তু সেই ডোজ ওমিক্রনকে কতটা আটকাতে পারবে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে নানা মহলে। যদিও বহু বিজ্ঞানীর দাবি বুস্টার নিলে ওমিক্রনও অনেকাংশে আটকানো যেতে পারে।
এমন অবস্থায় চিকিৎসকদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনার কোন রূপটি সংক্রমতি করছে, সেটিকে খুঁজে বার করা। কারণ অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রন অনেক দ্রুত ছড়ায়। তাই আলাদা করে সেটিকে চিহ্নিত করতে পারলে আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। এবং করোনার এই রূপটিকেও প্রতিহত করা সহজ হবে। এরকম একটি অবস্থায় ওমিসিওর নিঃসন্দেহে চিকিৎসকদের এবং গোটা স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে লাভজনক হবে।