ওমিক্রন দিয়েই করোনার শেষ।
ওমিক্রন প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন।
ওমিক্রনের পরে করোনা খুব দুর্বল হয়ে যাবে।
— এমন নানা ধারণা রয়েছে অনেক মহলেই। সাধারণ মানুষ তো বটেই, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই এমন মতামত জানিয়েছেন এর মাঝে। কিন্তু এ ধরনের কথার কোনও ভিত্তি নেই এমনই বলছে হালের গবেষণা। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ওমিক্রনের পরে করোনার যে রূপটি আসবে, সেটি মারাত্মক আকার নিতে পারে।
সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন ভারতীয় বিজ্ঞানী কোভিডের রূপ বদল নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন। দলের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্র গুপ্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোভিড শেষ হতে চলেছে— এটা যাঁরা ভাবছেন, তাঁদের ভুল হতে পারে। এর পরে আরও বড় আকার নিয়ে ফিরতে পারে করোনার কোনও রূপ।
কেন ওমিক্রন দিয়েই করোনার শেষ বলে ধরে নেওয়া হয়েছে? রবীন্দ্র গুপ্তার মতে, ওমিক্রনকে ‘evolutionary mistake’ বা ‘বিবর্তনের বিভ্রম’ বলা যেতে পারে। করোনাভাইরাসও যে এমন ভাবে বিবর্তিত হতে চেয়েছে তা নয়। এটি ফুসফুসের ভিতরে মারাত্মক ভাবে ছড়াচ্ছে না। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, এটি খুব মৃদু ভাবে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। কিন্তু আসলে তা নয়। করোনা ইতিমধ্যেই সংক্রমণের গতি বাড়িয়েছে। অন্য যে কোনও রূপের তুলনায় ওমিক্রন অনেক দ্রুত এবং সফল ভাবে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। অর্থাৎ এটি কোনও ভাবেই দুর্বল হয়নি, তা পরিষ্কার।
রবীন্দ্র গুপ্তার বক্তব্য, ‘অনেকেই ভাবছেন, ওমিক্রন প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন। কিন্তু বিষয়টি আদপেও তা নয়। এই রূপটি যে বড় সমস্যা সৃষ্টি করছে না, সেটা আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু পরের রূপটি নিজেকে বদলাবে। এবং সেটি যে একই রকম ভাবে মৃদু উপসর্গ হিসাবে হাজির হবে, এমন ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।’ তাঁর ধারণা, পরের রূপটি ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। তার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
‘ওমিক্রন খুব বেশি সমস্যার সৃষ্টি করছে না। তাই এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে যত বেশি সম্ভব টিকাকরণ করা উচিত। তাতে এই ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার সময় এবং শক্তি— দুটোই পাওয়া যাবে।’ বলছেন