1/6 দেশে আবার মাথা চাড়া দিচ্ছে ওমিক্রন। তবে এবারে নয়া রূপে। সংক্রমণের হার বাড়ছে তরতরিয়ে। কারণটা আর কিছুই না। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই নয়া স্ট্রেন সহজেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে দিতে পারে একজনের।
2/6 ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বইয়ের পুণেতে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সেখানেই দেখা যায়, অন্যান্য স্ট্রেনগুলিকে দমিয়ে মারাত্মক হয়ে উঠছে এক্সবিবি.১.১৬। ৫ মার্চ ভাইরাসটির নয়া স্ট্রেনের এই নামকরণ করা হয়েছে। তবে আগের ভাইরাসগুলির তুলনায় কেন বেশি মারাত্মক এটি?
3/6 বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই স্ট্রেনটি ওমিক্রনের দুটি রিকম্বিন্যান্ট স্ট্রেনের সংকর প্রজাতির ভাইরাস। সংকর বা হাইব্রিড উপায়ে তৈরি বলেই বেশ শক্তিশালী নয়া ভাইরাস। তবে আরও একটি বড় কারণ রয়েছে ভাইরাসের এত ক্ষমতার পিছনে।
4/6 এশিয়া হাসপাতালের সংক্রমণাত্মক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চারু দত্ত অরোরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন খুব দ্রুত এর নিউক্লিওটাইড ও অ্যামিনো অ্যাসিডের চেহারা পাল্টে ফেলছে। এই দুটিই একপি ভাইরাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর উপরেই সংক্রমণ ও রোগ ছড়ানোর সবকিছু নির্ভর করে। ঘন ঘন এই দুটি উপাদান চেহারা পাল্টাচ্ছে বলেই মারাত্মক হয়ে উঠেছে এক্সবিবি.১.১৬।
5/6 চিকিৎসক চারু দত্ত অরোরা বলেন, ‘অ্যামিনো অ্যাসিড ও নিউক্লিওটাইডে দ্রুত বদল হচ্ছে বলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলেও তা ভেঙে দিচ্ছে ভাইরাসটি। আগে কেউ ওমিক্রনে ভুগে সুস্থ হলেও সে আক্রান্ত হচ্ছে আবার।
6/6 ইতিমধ্যেই দৈনিক কোভিড আক্রান্তের হার নতুন করে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশের কোঠা ছুঁয়েছে এই হার। ফের উর্দ্ধমুখী গ্ৰাফের পিছনে এক্সবিবি.১.১৬-এর ভূমিকা অনেকটাই।