একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এক যুগল। সঙ্গে তাঁদের সন্তান। সেখান এসেছিলেন এমনই আরও অনেকে। সঙ্গে তাঁদের সন্তান। সেখানেই খটকা লাগে এই যুগলের। তাঁদের সন্তানের চেহারা একেবারে অবিকল আর এক যুগলের সন্তানের মতো। এত মিল থাকতে পারে নাকি? তার পরেই শুরু হল সন্ধান।
সমকামীদের জন্য আয়োজন করা এই পার্টির অনেকেই বাবা-মা হয়েছেন। তাঁরা সবাই স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করেছেন সন্তানের জন্য। একটি স্পার্ম ব্যাঙ্কে অনেকেই শুক্রাণু দান করেন। কিন্তু এক জনের পক্ষে খুব বেশি বার শুক্রাণু দেওয়াও নিয়ম বিরুদ্ধ। তাহলে কী করে এমন হতে পারে? দুই সন্তানের চেহারার মিল দেখে তাদের অভিভাবকদের সন্দেহ হয়, হয়তো তাদের বায়োলজিক্যাল বাবা একজনই। ফলে তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন স্পার্ম ব্যাঙ্ক। তাতেই বেরিয়ে আসে আরও অবাক করা কথা। দেখা যায়, শুধু এই দু’জন নয়, এমন আরও বহু শিশু রয়েছে, যাদের চেহারায় রয়েছে অবিশ্বাস্য মিল। তাতেই নড়েচড়ে বসে স্পার্ম ব্যাঙ্কটি। তবে এক জনের শুক্রাণুতেই হয়ে চলেছে একের পর এক সন্তান? তা কী করে সম্ভব? কারণ নামের তালিকায় তো রয়েছে আলাদা আলাদা নাম।
সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ায়। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছেন সেই ব্যক্তি। দেখা গিয়েছে, অন্তত ৬০টি শিশুর বাবা হয়েছেন তিনি। কিন্তু কাজটি করলেন কী করে? এ জন্য বার বার নাম ভাঁড়িয়েছেন তিনি। বার চারেক নাম বদলে শুক্রাণু দিয়েছেন এই ব্যক্তি। আর তাতেই এত জন শিশুর জন্ম হয়েছে তাঁর শুক্রাণু থেকে।
তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই মতো অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।