ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই শিক্ষক দিবস পালিত হয়। তাঁর জন্ম তারিখকে স্মরণ করে প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়।
শিক্ষক দিবস শিশুদের জন্য কোনও উৎসবের চেয়ে কম নয়। শিশুরা এই দিনের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে এবং অনেক বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচ, গান, নাটক-সহ অনেক কিছু হয় স্কুলে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেখানে শিশুদের শিক্ষক দিবস নিয়ে কিছু বলতে হয়।
শিক্ষক দিবসের আর বেশি দিন বাকি নেই। এখনই জেনে নিন, এমন একটি বক্তৃতা, যা স্কুলে বললে অনেকেরই পছন্দ হতে পারে।
রইল এমনই বক্তৃতা: গুরুর্ব্রহ্মা গুরুরবিষ্ণুঃ গুরুরদেব মহেশ্বরঃ গুরুর সাক্ষত পরম ব্রহ্ম তস্মাই শ্রী গুরুভে নমঃ অর্থাৎ গুরুই ব্রহ্মা, গুরুই বিষ্ণু, গুরুদেব হলেন শিব এবং গুরুদেব হলেন আদি ব্রহ্মার প্রকৃত রূপ, সেই গুরুদেবকে প্রণাম করি।
শুভ সকাল, শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক মহাশয়/মহাশয়া, শিক্ষকশিক্ষিকা এবং আমার প্রিয় সহপাঠীরা। আজ আমি খুব খুশি যে আমি এই শুভ উপলক্ষে কিছু বলার সুযোগ পেয়েছি। আমরা জানি যে, আজ আমরা সবাই এখানে শিক্ষক দিবস উদযাপন করতে এসেছি। তাই সবার আগে আমি আমার শ্রদ্ধেয়দের প্রণাম জানাই।
আজ আমাদের জন্য একটি বিশেষ দিন। কারণ আজ আমরা সবাই শিক্ষক দিবস উদযাপন করতে এখানে জড়ো হয়েছি। বলা হয়ে থাকে গুরুর চেয়ে বড় কেউ নেই, আজ আমিও এটা বিশ্বাস করি। তাই আজকে আসুন আমরা সবাই এই ধরনের গুরুদেরকে প্রণাম করি এবং আমাদের জীবনে তাঁদের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করি।
গুরু হলেন সেই প্রদীপ যাঁরা অন্ধকারেও আলো দেন। তাঁরা সেই গাছ যাঁরা নিজেই সূর্যের সব তাপ সয়ে নিয়ে এবং আমাদের ছায়া দেন। আর সে সব গাছ যা আমাদের সব সময় মিষ্টি ফল দেয়, আমাদের ভিতর থেকে অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে জ্ঞানের আলোয় ভরে দেয়। শিক্ষকরা শুধু আমাদের শেখান না, আমাদের গঠন করে এবং দায়িত্বশীল নাগরিক করে তোলেন। তাঁরা আমাদের ভুলগুলি নির্দেশ করেন, যাতে আমরা হতাশ হই না বরং আমরা ক্রমাগত উন্নতি করতে পারি। বাইরের বিশ্বের জন্য আমাদের প্রস্তুত করেন। জীবনের প্রতিটি নতুন পর্যায়ে আমরা যে সমস্ত অসুবিধার মুখোমুখি হব, তার সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগান গুরু।
সত্য, ধার্মিকতা এবং ন্যায়ের পথে অবিরত আমাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ স্যার/ম্যাম। ধন্যবাদ!