বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় সবসময় সংবাদের শিরোনামে থাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কখনও ছাত্র রাজনীতি হোক, আবার কখনও র্যাগিং। আবার কখনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কণ্ঠ হিসেবেও অবিচল এই বহুচর্চিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এবার পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের দাবিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ সরব। বৃহস্পতিবার পদক্ষেপও গ্রহণ করলেন কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেও তৈরি করা হয়েছে কমিটি।
পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের দাবিতে সম্প্রতি ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের একাংশ পোস্টার সেঁটেছিলেন। একই দাবিতে বুধবার থেকে অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান শুরু করেছিলেন কয়েক জন। দেশের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পোস্টারে লেখা হয়েছে- 'ইউটিআই ফ্রি জেইউ', 'সিসিটিভিতে লক্ষ কোটি, শৌচালয়ে দাঁতকপাটি'।
আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার ব্যবহার করে ছাত্রীদের ইউটিআই অর্থাৎ মুত্রনালিতে সংক্রমণ হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের তরফে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের এক ছাত্রীর অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রী, উভয়ের ক্ষেত্রেই শৌচাগারগুলি অপরিচ্ছন্ন। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। কোনও কোনও শৌচাগারের মার্বেল খসে পড়ছে। কোনও তদারকি নেই। এছাড়া বেশ কিছু শৌচাগার তো আবার তালাবন্ধ থাকে। সন্ধ্যার দিকে শৌচাগার খোলা পাওয়া যায় না। যথেষ্ট সংখ্যায় স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন নেই। যেগুলি রয়েছে সবগুলি অকেজো।
এ দিন সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়। পরে রেজিস্ট্রার জানান, শিক্ষক, আধিকারিক, পড়ুয়াদের নিয়ে তৈরি একটি কমিটি প্রতি সপ্তাহে শৌচাগারগুলি ঘুরে দেখবে। ওই কমিটি যে রিপোর্ট দেবে, তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে। কলা বিভাগের ইউনিয়ন রুমের শৌচাগার ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় এনে আগামী সপ্তাহে খুলে দেওয়া হবে। তার চাবি থাকবে গার্ড রুমে। ছাত্রীরা চাবি খুলে ব্যবহার করতে পারবেন।
পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিনের প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে সাতটি প্যাড ভেন্ডিং মেশিনের মধ্যে কয়েকটি কাজ করছে। বাকিগুলি চালু করার চেষ্টা হবে। যদিও এদিনের বৈঠকের পরে পড়ুয়ারা তাদের অবস্থান তুলে নেন।