আমরা যখনই ডান্স ফ্লোরে যাই, ডিজে সবসময় একটা গান বাজায়। 'সাত সমুন্দর পার ম্যায় তেরে পিছে পিছে আগ্যায়ি'। বাস্তবেও এবার এমনই একটি ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এক প্রেমিকা তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আট হাজার কিলোমিটার দূরে ব্রিটেন থেকে উড়ে এসেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মানে সাত সমুদ্র নাহলেও অন্তত আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। এরপর যা ঘটেছিল ওই মহিলার সঙ্গে, জানলে অবাক হবেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , ব্রিটেনের 'কেলেগ ক্যাসেল', পেশায় লাইফ কোচ তিনি। প্রথম ডেটে লন্ডন থেকে সান ফ্রান্সিসকো পৌঁছেছিলেন। গত শীতে মেক্সিকোর পুয়ের্তো ভাল্লার্তায় ছুটি কাটাতে গিয়ে ক্যাসেলের জীবনে একজন আগন্তুকের আগমন হয়েছিল। এরপর প্রেমের জন্য প্রায় অর্ধেক পৃথিবী ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পেশাদার জীবন কোচ। এটি একটি ভাল শুরু হবে ভেবে, তিনি ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর ওই ব্যক্তি তাঁকে গোল্ডেন স্টেট দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ক্যাসেলও সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সোজা ৮০০০ কিলোমিটার পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন আমেরিকায়।
ডেটিংয়ের খাতিরে হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়েও বিশেষ কিছু অর্জন করতে পারেননি কেইলি। আমেরিকান পশ্চিম উপকূলে সবচেয়ে সুন্দর কিছু জায়গায় এক সঙ্গে কিছু সময় কাটানোর পর, ক্যাসেল বুঝতে পেরেছিলেন যে কিছু ভুল হয়েছে। সান ফ্রান্সিসকোর দক্ষিণে কারমেল-বাই-দ্য-সি-এর সুন্দর শহর এবং আশেপাশের সৈকত পরিদর্শন করার পরেও, তাঁরা ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের দিকে রওনা হয়েছিলেন। ক্যাসেল জানিয়েছিলেন যে এখানেই কিছু জিনিস তাঁর অদ্ভূত লাগছিল।
কী ঘটনা ঘটেছিল আদতে
মহিলা জানিয়েছেন যে ওই ব্যক্তি সবসময় নিজের ফোন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গায় এসেও ফোন ব্যতীত নিজের প্রেমিকার দিকে তাকিয়েও দেখেননি তিনি। এইসবের ফলে সদ্য শুরু হওয়া প্রেমটা কেমন যেন ফিকে পড়ে যাচ্ছিল। তাতেও কোনও কিছু মনে হয়নি ওই ব্যক্তির। কোনও অনুশোচনা ছিল না। তাই ক্যাসল আর এই প্রেমকে বাহবা দেননি। বন্ধু থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনেই। তাঁরা এখন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে, ক্যাসেল আশা রেখেছেন যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অপরকে জানতে শুরু করলে, হয়ত এই প্রেম আবারও জেগে উঠতে পারে। মহিলা জানিয়েছেন, আমরা এখনও যোগাযোগে আছি। দুজনে অনেকও মজা করেছি কিন্তু আপাতত আমরা বন্ধু থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।