অনলাইনে অর্ডার করা জন্মদিনের কেক খাওয়ার পরে মৃত্যু হল ১০ বছরের মেয়ের। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই বালিকার বোন-সহ পুরো পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের পাটিয়ালায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরেই ওই বালিকার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে পুলিশের তরফে আপাতত নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানানো হয়নি। যে কেক খাওয়ার পরে সকলে অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই পুরো বিষয়টি বোঝা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তারইমধ্যে পাটিয়ালার যে বেকারি থেকে ওই কেকের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল, সেই দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল?
বালিকার দাদু দাবি করেছেন যে গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পরিবারের সঙ্গে জন্মদিনের কেক কেটেছিল নাতনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছিল। কিন্তু কেক খাওয়ার পর থেকেই দুই নাতনি বমি করতে শুরু করেছিল। তাঁর যে নাতনির মৃত্যু হয়েছে, সে জল চাইতে থাকে। সে বলছিল যে প্রবল তেষ্টা পাচ্ছে। মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে বলেও জানাতে থাকে ওই বালিকা। পরবর্তীতে ঘুমোতে চলে যায়।
কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সকালেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত বালিকার দাদু দাবি করেছেন, অক্সিজেন দেওয়া হতে থাকে। ইসিজি করা হয়। কিন্তু যাবতীয় চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি চিকিৎসকরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছেন মৃত বালিকার দাদু।
আরও পড়ুন: TCS jobs in America: ‘মার্কিনিদের ছাঁটাই করেছে TCS! কম টাকায় চাকরি দিচ্ছে H1-B ভিসাধারী ভারতীয়দের’
মৃত বালিকার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, পাটিয়ালার একটি বেকারি থেকে অনলাইনে সেই চকোলেট কেক অর্ডার করা হয়েছিল। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কেকটি খাওয়ার পরে রাত ১০ টার মধ্যেই সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই কেকেই কোনও বিষাক্ত বস্তু ছিল। ইতিমধ্যে ওই বেকারির মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে মৃত বালিকার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।
মৃত বালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এক পুলিশ কর্তা বলেছেন, 'মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য কেকের নমুনা পাঠানো হয়েছে। আমরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।'