হরিয়ানায় দশমের বোর্ড পরীক্ষা চলাকালীন সোমবার প্রায় ৪৫৭টি টুকলির ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় ১০ পরীক্ষা সুপারিনটেনডেন্ট এবং একজন ক্লার্ককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার সময় অবহেলার জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। এরই মাঝে এক পরীক্ষার্থীর অভিনব কায়দায় টুকলির চেষ্টা দেখে সবার চক্ষু চড়ক গাছ। একটি কাচের স্বচ্ছ ক্লিপবোর্ডের মধ্যে ফোন লুকিয়ে নিয়ে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নের জবাব টুকছিল সেই পরীক্ষার্থী। ফ্লাইং স্কোয়াডের হাতে ধরা পড়ে সেই পরীক্ষার্থী।
জানা গিয়েছে, ফতেহাবাদের ভুথানে সরকারি সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে পরীক্ষার হলে ইংরেজি পরীক্ষার সময় এই অভিনব কায়দায় টুকলি করছিল পরীক্ষার্থী। ছাত্রটি একটি কাচের ক্লিপ বোর্ড ব্যবহার করছিল এবং একটি মোবাইল ফোন তার মাঝখানে আটকে রেখেছিল এবং হোয়াটসঅ্যাপ সহ বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন খুলে রেখেছিল। একটি কাগজ দিয়ে সেই মোবাইল ফোনটি সে ঢেকে রেখেছিল।
এদিকে অপর একটি ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ দুই যুবকের কাছ থেকে একটি খেলনা বন্দুক উদ্ধার করেছে। তারা ঝাজ্জারের বাহাদুরগড়ের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের এক আত্মীয়কে উত্তর চিট ছুড়ে মারছিল। পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করেছে। এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছে সঠিক জবাব পৌঁছে দেওয়ার দায়ে একটি স্কুলের সুপার ও ক্লার্ককে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআরও করেছে। জানা গিয়েছে, পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে দুই ব্যক্তিকে তা পাঠান সুপার। সেই দুই ব্যক্তি চল্লিশটি অবজেকটিভ প্রশ্নের জবাব লিখে পাঠায় সুপারকে। এরপর সেই কেন্দ্রের সকল পরীক্ষার্থীকে জবাব জানায় সেই সুপার। পরীক্ষা কেন্দ্রের সব পরীক্ষার্থীদের অবজেকটিভ প্রশ্নের জবাব সঠিক হওয়ায় সন্দেহের বসে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছিল।