বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ে। নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়েকে। আর সেখানেই দুর্ঘটনার যে তথ্য় উঠে আসছে তা এককথায় উদ্বেগের। একের পর এক মৃত্যু। মঙ্গলবার কংগ্রেস সরকার বিধানসভায় জানিয়েছে, ওই এক্সপ্রেসওয়েতে সব মিলিয়ে ১০০জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৩৫জন জখম হয়েছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে জুন মাসের মধ্যে এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। মূলত উল্লেখ করা হচ্ছে এই এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক ত্রুটি রয়েছে। তার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
হোম মিনিস্টার জি পরমেশ্বারা জানিয়েছেন, শুধু মার্চ মাসেই ২০জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৬৩জন জখম হয়েছিলেন। এপ্রিল মাসে ২৩জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৮৩জন জখম হয়েছিলেন। মে মাসে মারা গিয়েছিলেন ২৯জন ও ৯৩জন আহত হয়েছিলেন। জুন মাসের মৃত্যুর সংখ্য়া ২৮ ও জখমের সংখ্য়া ৯৬জন। সব মিলিয়ে সরকারি রিপোর্টে ১০০জনের মৃত্য়ু হয়েছিল ওই এক্সপ্রেসওয়েতে। ৩৩৫জন জখম হয়েছিলেন।
বিজেপি বিধায়ক সুরেশ কুমার প্রশ্ন করেছিলেন এক্সপ্রেসওয়েতে কীভাবে এত দুর্ঘটনা হচ্ছে? একের পর এক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে হোম মিনিস্টার একথা জানান। তবে বিরোধী বিধায়কের দাবি মার্চ মাসের এই রাস্তার উদ্বোধন হয়েছিল। তারপর থেকে অন্তত ১৩২জনের মৃত্য়ু হয়েছে।
তবে হোম মিনিস্টারের দাবি, এই রাস্তার বাঁকগুলি একেবারে ভয়াবহ। উপযুক্ত কোনও নির্দেশিকা দেওয়া নেই। তার জেরে সমস্য়ায় পড়েন চালকরা। যখন রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল তখন নিরাপদে ভ্রমণের দিকটা খেয়াল রাখা হয়নি।
সেই সঙ্গেই সুরক্ষার জন্য মন্ত্রী একাধিক সুপারিশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি ৩০ কিমি অন্তত হাইওয়ে পেট্রলিং গাড়ি রাখা অত্যন্ত দরকার। প্রচন্ড জোরে গাড়ি চললে তা নিয়ন্ত্রণ করবে তারা। পথচারীরা যাতে এই হাইওয়ে না পার হন সেব্যাপারে হাইওয়ে অথরিটির উচিত সতর্ক করা। সেই সঙ্গে উপযুক্ত সতর্কতামূলক চিহ্ন দেওয়াটা খুব দরকার। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কোথাও কোনও পথবাতির ব্যবস্থা নেই। যার জেরে দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
জেডিএস বিধায়ক জিটি দেবেগৌড়া জানিয়েছেন বর্ষার সময় আরও বিপজ্জনক হয়ে যায় এই রাস্তা। প্রচন্ড পিছল হয়ে যায় এই রাস্তা। রাস্তাগুলি ঠিকঠাক করে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না।যার জেরেই সমস্যাগুলি তৈরি হয়। তবে হোম মিনিস্টার জানিয়েছেন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। NHAI-এর কাছ থেকে রাজ্য সরকার সেফটি অডিট রিপোর্টও চেয়েছে বলে খবর।