এবার ফসল বিমা যোজনা নিয়ে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করার ছক কষার অভিযোগ। একাধিক সংবাদপত্রে ও ওয়েবসাইটে এই ভুয়ো বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কৃষি মন্ত্রকের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। এবার নালিশ পেয়েই দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই রাজ্যেও এই প্রতারণার ছক কষা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কারা এর পেছনে রয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্য়েই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ভুয়ো বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। ফসল বিমা সংক্রান্ত ব্যাপারে কৃষকদের বিভ্রান্ত করার জন্য় এই সব বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল বলে খবর। মূলত ভুল বুঝিয়ে তাদেরকে প্রতারিত করার জন্য় এই ছক কষা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিষয়টি ধরা পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এনিয়ে এফআইআর করা হয়েছে। একটা মামলা করা হয়েছে।
এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, দফতরের তরফে তথ্য় পাওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছে যে ওই সোসাইটি ভুয়ো। এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কোনও ক্ষমতা তাদের নেই। ওয়েবসাইটে যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা পুরোপুরি বিভ্রান্তিমূলক ও মিথ্য়ে। এটা বিপথে পরিচালিত করতে পারে। সেকারণেই এবার পুলিশ ও কৃষি দফতর উভয়ই নড়েচড়ে বসেছে।
আইআরডিএর তরফে বলা হয়েছে, ওই সোসাইটিকে এমন কোনও কাজ করার জন্য় লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
এদিকে গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানার চেষ্টা করছে এই ঘটনার পেছনে কোন চক্র কাজ করছে। মনে করা হচ্ছে কৃষকদের মাথায় টুপি পরিয়ে তাদের সর্বস্ব লুঠে নেওয়ার ছক কষেছিল ওই ভুয়ো সংস্থা। তবে তার আগেই কৃষি দফতরের নজরে আসে বিষয়টি। এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের। সেই অনুসারে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তবে এবার কাদের নাম উঠে আসে সেটাই দেখার।