পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়লেন অন্ধ্র প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অমজাথ বাশা শেখ, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। কাডাপার বাসিন্দা ওই পরিবারকে নিয়ে গত ৩ দিনে রাজ্যে আক্রান্ত ৫৭৮৪। সংক্রমণে মৃত্যু ৯৯টি।
সপরিবারে আমজাথকে প্রথমে তিরুপতির শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ ভরতি করার পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার হায়দরাবাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রবিবারই অন্ধ্র প্রদেশে ১,৯৩৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার আরও ১,৯৩৫ জন আক্রান্ত এবং ৩৭ জন মারা যান। এই দিনই কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েন ওয়াইএসআর কংগ্রেস দলের সালারপেটা কেন্দ্রের বিধায়ক কিলিভেটি সঞ্জীভাইয়া। তাঁকে চেন্নাইয়ের এক কর্পোরেট হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯১৬ ও মৃত ৪৩ জন। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
মঙ্গলবার অন্ধ্রে মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ১০ জন অনন্তপুরের বাসিন্দা, ৯ জন পশ্চিম গোদাবরী, ৫ জন করে চিত্তুর, পূর্ব গোদাবরী ও কাডাপার অধিবাসী। এ ছাড়া তিন জন করে কারনুল ও প্রকাশম জেলার বাসিন্দা এবং বিশাখাপত্তনম ও ভিজিয়ানগরম থেকে দুই জন করে সংক্রমণে মারা গিয়েছেন।
গত ২৪৫ ঘণ্টায় ১,৯১৬ জন পজিটিভ রোগীকে নিয়ে মোট পজিটিভ রোগীর সংখ্যা রাজ্যে আপাতত ৩৩,০১৯। তালিকায় সবার উপরে ৩,৮২৩ রোগী নিয়ে কারনুল, তার পর অনন্তপুর ৩,৬৫১, গুন্টুর ৩,৩৫৬, পূর্ব গোদাবরী ৩,১১৫, চিত্তুর ৩,০৭৪, কৃষ্ণা ২,৭৪৪ এবং পশ্চিম গোদাবরী জেলার ২,০২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ১৫,১৪৪ জন রোগী এবং সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ১৭,৪৬৭ জন।
ইতিমধ্যে ভিনরাজ্য থেকে আসা বাসিন্দাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নতুন নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষ করে তেলাঙ্গনা ও কর্নাটকে আক্রান্তের হার উল্লেখজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় ওই দুই রাজ্য থেকে আসা রোগীদের কড়া নিয়মের মধ্যে কোয়ারেন্টাইন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রথম ৭ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাস।
এ ছাড়া বিমানবন্দর সূত্রে প্রাপ্ত সিট নম্বর অনুযায়ী ১০% যাত্রীর করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে যে সমস্ত যাত্রীর বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ১০ বছরের কম, তাঁদের থেকে পরীক্ষার জন্য বিমানবন্দরেই নমুনা নেওয়া হবে।