শুক্রবার সকালে রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ সেনা জওয়ানের। সেই শহিদ জওয়ানদেরই একজন হলেন দার্জিলিঙের বিজনবাড়ির বাসিন্দা সিদ্ধান্ত ছেত্রী। জানা গিয়েছে, গত মাসেই বিয়ে করতে বাড়ি এসেছিলেন সিদ্ধান্ত। বিয়ের পর গত ১৪ এপ্রিল ফের যোগ দিয়েছিলেন কাজে। ২৫ বছর বয়সি সিদ্ধান্ত প্যারা এসএফ-এ নিযুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি এলাকায় এনকাউন্টার চলাকালীন জঙ্গিদের আইইডি বিস্ফোরণে শহিদ হন পাঁচ জওয়ান। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল যে জঙ্গিরা পুঞ্চ এলাকায় সেনার গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল তারাই গতকাল রাজৌরির কান্দি এলাকায় বোমা হামলা করেছিল।
উল্লেখ্য, ২০ এপ্রিলের হামলার নেপথ্যে থাকা জঙ্গিদের ধরতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল সেনা। ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নির্দিষ্ট তথ্য়ের ভিত্তিতে রাজৌরি সেক্টরের কান্দি এলাকায় অভিযানে নামে সেনা। জানা যায়, একটি গুহার মধ্যে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে ছিল। সেই এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা সেই অঞ্চলে সেই জঙ্গিদের ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালান সেনা জওয়ানরা। সেই সময়ই জঙ্গিদের আইইডি বিস্ফোরণে দুই সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। গুরুতর ভাবে জখম হন আরও তিনজন। আহতদের দ্রুত উধমপুরের কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে সেখানে তাঁদের মৃত্যু হয়। সেই শহিদ জওয়ানদের মধ্যেই অন্যতম দার্জিলিঙের সিদ্ধান্ত।
সব মিলিয়ে গতকালকের হামলায় ৯ প্যারা এসএফের চারজন কমান্ডো ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ১ জন সেনা শহিদ হয়েছেন। শহিদ জওয়ানদের মধ্যে বাকিরা হলেন - আখনুরের হাবিলদার নীলম সিং, পালামপুরের নায়েক অরবিন্দ কুমার, উত্তরাখণ্ডের গাইরসাইন থেকে ল্যান্স নায়েক রুচিন সিং রাওয়াত এবং হিমাচল প্রদেশের সিরমাউর থেকে প্যারাট্রুপার প্রমোদ নেগি। এদিকে মেজর পদমর্যাদার একজন আধিকারিকও জখম হয়েছেন এই জঙ্গি হামলায়। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ৭ থেকে ৯ জন জঙ্গি গতকাল লুকিয়ে ছিল গুহায়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি জঙ্গি। কয়েকজন আবার স্থানীয়। লস্করের এই মডিউলটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি থেকে ২০ এপ্রিলের হামলার ছক কষেছিল। সেই হামলার পর থেকেই এই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনা। সেই মতো গতকাল গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালায় সেনা। তবে এই অভিযানেও শহিদ হলেন পাঁচ জওয়ান। তবে এই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।