ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে বড় আপডেট। এই আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আজকে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের হয়ে এমনটাই জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামনি। তিনি জানান বর্তমান প্রেক্ষিতে এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ১২৪এ ধারা রাষ্ট্রদ্রোহকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে, সেই ধারার সংশোধনের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। এই নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণের কাজ প্রায় শেষ বলেও শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে কেন্দ্র।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পাদ্রিওয়ালার বেঞ্চে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি অগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে। প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারা বা রাষ্ট্রদোহ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হয় শীর্ষ আদালতে। উল্লেখ্য, বর্তমানে এই আইনটি স্থগিত রয়েছে। এই আইনের অধীনে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে এই আইনটি এখনও বাতিল হয়নি। এই আবহে আদালতে কেন্দ্র জানাল যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারাটিকে নতুন করে লিখবে কেন্দ্র। এর আগে গতবছর নভেম্বর মাসে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি দাবি করেছিলেন, সংসদের বাজেট অধিবেশনে এই নিয়ে সরকার কোনও পদক্ষেপ করতে পারে। তবে তা হয়নি। যদিও আজকে তিনি শীর্ষ আদালতে জানান, এই আইন সংশোধন সংক্রান্ত পরামর্শ নেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ।
এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যতদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ ধারার বৈধতা নিয়ে পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া চলছে ততদিন যেন রাজ্য বা কেন্দ্র এই আইনে কারও বিরুদ্ধে মামলা রুজু না করে। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, যাঁরা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জেলবন্দি আছেন বা মামলা চলছে, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য নিয়ে ট্রায়াল কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্য কোনও ধারায় মামলা রুজু থাকলে, তার প্রেক্ষিতে বিচার ব্যবস্থা পদক্ষেপ করবে এবং সাজা শোনাবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে জেলবন্দি আছেন, তাঁরা শুধু সেই ধারা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যেই আদালতে আবেদন জানাতে পারবেন। এই মর্মে সব রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।