বিহারের উপমুখ্য়মন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন জনতা দল ইউনাইটেডের সভাপতি নীতীশ কুমারকে মুখ্য়মন্ত্রী করে বিহারে সরকার তৈরির জায়গা থেকে পিছিয়ে আসবে না বিজেপি।
এনডিটিভির খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, সম্রাট চৌধুরী এবিহারকটি ভিড়ে ঠাসা কর্মীসভায় একথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় ও রাজ্যস্তরে প্রচুর কথাবার্তা হয়েছে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে আরজেডিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়। কারণ আরজেডি এখানে জঙ্গলরাজ এনেছিল। সেই বিহারে আর আরজেডিকে নয়।
তিনি জানিয়েছেন, জোট তা যেটাই হোক না কেন সেটাকে আমরা সম্মান করি। নীতীশ কুমারকে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি সঠিক সময়ে বিষয়টি বুঝে গিয়েছিলেন। আসলে ওই গ্রুপটা ছিল দুর্নীতিগ্রস্তদের আড়াল করার একটা জোট।
কিন্তু বিহারে একদিন আমাদের সরকার তৈরির শপথ থেকে আমরা পিছিয়ে আসব না। এটা আমি বলে দিলাম। জানিয়েছেন বিহার বিজেপির ওই নেতা।
সম্রাট জানিয়েছেন, বিজেপি হল এমন একটা দল যারা ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করে কবে তাদের শপথ তারা পূরণ করতে পারবে। তিনি জানিয়েছেন, একটা সময় ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়। এরপর একের পর এক প্রজন্ম চলে গিয়েছে। কিন্তু স্বপ্নপূরণ হচ্ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন। অযোধ্য়ার ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। আমরা যখন বলতাম মন্দির ওহি বানায়েঙ্গেয তখন নানা কথা বলা হত। কিন্তু আমরা এটাও বলতাম তারিখ বলব না। কারণ মন্দির নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারতাম না।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, মদ মাফিয়া, জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন নীতীশ কুমার। এনডিএ জোটে যুক্ত হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে বিহারে ফের বিজেপির সঙ্গে মাখোমাখো সম্পর্ক নীতীশের। এদিকে এবার বিহারে বিজেপির নিজস্ব সরকার তৈরির ব্যাপারে আশার কথা জানালেন বিজেপি নেতা।
এদিকে নীতীশকে পালটুরাম বলে বার বার কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিকে নীতীশ কুমারের প্রথমে এনডিএ জোটে যাওয়া, তারপর সেখান থেকে ফিরে এসে কংগ্রেস–আরজেডি’র সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ে তোলা এবং এখন আবার এনডিএ জোটে সামিল হওয়ায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। জেপি নড্ডার সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করে বেরিয়ে নীতীশ কুমার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যেখানে ছিলাম, আবার সেখানে ফিরলাম। আর কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই নেই। আমরা একজোট থাকব। আব ইধার–উধার নেহি হোঙ্গে।’