পর্যাপ্ত টাকা নেই। কোষাগার কার্যত ফাঁকা। নির্বাচন সংগঠিত করাব কীভাবে? অবিলম্বে তহবিল ভরানোর বন্দোবস্ত করুন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে এমনই আর্জি জানালেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আইনি লড়াই এবং সংগঠন ধরে রাখতে গিয়ে রাজ্যে দলের অবস্থা ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ বলেও জানানো হয়। যদিও এই বিষয়ে কোনও কথা বলেননি নড্ডা বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, জেপি নড্ডা বাংলার সংগঠন নিয়ে অসন্তোষপ্রকাশ করেন সবার সামনেই। শিলিগুড়ির আসন্ন মহকুমা পরিষদের নির্বাচন এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষিতেই রাজ্য বিজেপির তহবিল নিয়ে আর্জি জানান সুকান্ত মজুমদার। তখন বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সংগঠনের বেহাল দশা নিয়ে অসন্তোষপ্রকাশ করেন নড্ডা।
কেন নড্ডা অসন্তোষপ্রকাশ করলেন? বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য সফরে এসে সংগঠনের বেহাল দশা দেখতে পান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর জেপি নড্ডার সঙ্গে বাংলার সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন। তখন বঙ্গ–সফরে আসেন নড্ডা। তিনি এসেও একই হাল দেখতে পান। পার্টি অফিস খোলার লোক নেই। এই পরিস্থিতি হাতেনাতে ধরে ফেলেন নড্ডা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সংঘের কাছে পাঠানো রিপোর্ট যে মনগড়া ছিল তাও বোঝেন সর্বভারতীয় সভাপতি। তাই রাজ্য নেতাদের নয়াদিল্লিতে তলব করেন আলোচনার জন্য। সেখানে তহবিল প্রসঙ্গ তুলতেই চোটে যান নড্ডা।
এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় শাসকদলের রাজ্য পার্টির ভাঁড়ে মা ভবানী দশা কেন? তাহলে কী হাত গোটাচ্ছে কেন্দ্রীয় পার্টি? সূত্রের খবর, পাঁচজনকে ডেকে পাঠানো হলেও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেতে রাজি হননি। সুকান্তরা আর্থিক সংকটের কথা জানালেও আলোচনার সিংহভাগ অংশই সংগঠন নিয়েই হয়েছে। ফলে সুকান্তদের কথায় পাত্তা দেননি নড্ডা।