ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের স্টেশন। অপূর্ব দেখতে সেই স্টেশন। এককথায় চোখ ফেরানো যাবে না। একেবারে অত্যাধুনিক স্টেশন। আমেদাবাদে তৈরি হয়েছে সেই স্টেশন। মুম্বই-আমেদাবাদ হাই স্পিড রেল করিডরের অন্য়তম উল্লেখযোগ্য স্টেশন হল এটি। এটাকে টার্মিনাল হিসাবে ব্যবহার করা হবে।
খোদ কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী যাদব তার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে এই স্টেশনের ফার্স্ট লুক। একেবারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এই স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। মোটামুটি ২০২৬ সালের অগস্ট মাসে এই স্টেশনের কাজ শেষ হতে পারে। ২০২৭ সালে এর উদ্বোধন হতে পারে।
সূত্রের খবর, ৩৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ছুটবে এই বুলেট ট্রেন। আরও গতি পাবে ভারতের রেল। চোখের নিমেষে পৌঁছে যাওয়া যাবে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায়। অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই বুলেট ট্রেন এগিয়ে দেবে ভারতকে।
বর্তমানে যেখানে আমেদাবাদ স্টেশন রয়েছে তার ১০,১১, ও ১২ নম্বর প্লাটফর্মকে বুলেট ট্রেনের জন্য় বরাদ্দ করা হচ্ছে। প্রায় ৫০৮ কিমি এলাকা জুড়ে তৈরি হবে এই বুলেট ট্রেনের যাত্রাপথ। মুম্বইয়ের সঙ্গে আমেদাবাদের দূরত্ব আরও অনেকটাই কমবে।
রেলমন্ত্রী যে ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে ওই টার্মিনালের অপূর্ব স্থাপত্যকীর্তি। একদিকে যাত্রীদের সুরক্ষা ও অন্যদিকে একেবারে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। জাপানের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে এই বুলেট ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে। আমেদাবাদ থেকে মুম্বই এই রুটের মধ্য়েই প্রথম হবে বুলেট ট্রেনের যাত্রা। এরপর ধাপে দেশের অন্য় প্রান্তে এই ধরনের ট্রেন চালানো হবে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই ভিডিয়ো শেয়ার করার পরেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই ভারতের রেল ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন আধুনিকতা আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধন। অপর একজন লিখেছেন বুলেট ট্রেন, সবথেকে বড় স্টেডিয়াম, সর্দার সরোবর, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, সব কিছু এই শহরেই।
তবে এর আগে রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গুজরাটের সুরাট ও বিলিমোরার মধ্য়ে এই বুলেট ট্রেন প্রথম দফায় চলবে।