কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ১৬ অগস্ট বুধবার ১৩,০০০ কোটির পিএম বিশ্বকর্মা স্কিমের অনুমোদন দিয়েছে। এর জেরে অন্তত ৩০ লাখ শিল্পীর সুবিধা হবে। সেই সঙ্গেই স্বর্ণকার , তাঁতি, ক্ষৌরকার, চর্মকার, ধোপা সহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা বিরাট উপকৃত হবেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে সরকারের তরফে ওই পেশার সঙ্গে থাকা লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রশিক্ষণপর্বেই প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সহায়তা করা হবে। ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ সর্বোচ্চ সুদ দিতে হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে বিপননের সহায়তা করার পাশাপাশি ২ লাখ টাকা ধারের সুবিধা মিলবে।
১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা হস্তশিল্পীদের জন্য বিশ্বকর্মা যোজনার সূচনা করা হবে। স্কিল ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ১৩,০০০ থেকে ১৫,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সহায়তা করা হবে। যে সমস্ত যুবকরা চিরাচরিত নানা শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরাট সুবিধা দেবে সরকার। তাদের পাশে থাকবে সরকার।
মোদী জানিয়েছিলেন, যাঁরা চিরাচরিত নানা শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সুবিধা দেবে এই বিশ্বকর্মা যোজনা। বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্য়মে তাঁতি, চর্মকার, ক্ষৌরকার, লন্ড্রি কর্মচারী সহ তাঁদের পরিবার সুবিধা পাবেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে ১৩,০০০ কোটি টাকার স্কিম। বহু ক্ষেত্রে হস্তশিল্পীরা অর্থের অভাবে সমস্য়ায় পড়ে গিয়েছেন। তাঁদের কাছে উপযুক্ত পুঁজি নেই। সেক্ষেত্রে তাঁরা কী করবেন তার কোনও দিশা পান না। তবে এবার তাঁদের পাশে দাঁড়াল সরকার।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ওবিসি সম্প্রদায়ের লোকজনেরও এনিয়ে সুবিধা হবে। এই বিশ্বকর্মা যোজনার মাধ্য়মে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন।
গোটা ভারতের পাশাপাশি বাংলাতেও প্রচুর শিল্পী রয়েছেন যাঁদের পুঁজির কোনও ব্যবস্থা নেই। ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করতে পারেন না। তবে তাঁদের দিশা দেখাবে এই স্কিম।