জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তাওয়ারের কাছে নদীর ধারে ভেঙে পড়েছিল অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব। এই আবহে সব ধ্রুব হেলিকপ্টারকে 'গ্রাউন্ড' করেছিল সেনা। এর আগেই অবশ্য সরকারের এক প্যানেল এই হেলিকপ্টারের ডিজাইন খতিয়ে দেখে। এই বায়ুযানকে ক্লিনচিট দেওয়ার দায়িত্বে থাকা প্যানেলটি জানিয়ে দিয়েছিল যে হেলিকপ্টারের নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থায় ত্রুটি রয়েছে। বেঙ্গালুরু ভিত্তিক 'সেন্টার ফর মিলিটারি এয়ারওয়ার্দিনেস অ্যান্ড সার্টিফিকেশন' বা সিইএমআইএলএসি গত ২৩ এপ্রিলই এই হেলকপ্টার নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছিল তিন বাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকে।
উল্লেখ্য, বিগত ৫ বছরে ১২টি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব। বিগত দুই মাসের মধ্যে তিনটি দুর্ঘটনা হয় এই হেলিকপ্টারের। কাশ্মীরের কিস্তাওয়ারের দুর্ঘটনায় দুই হেলকপ্টার চালক আহত হয়েছিলেন। প্রাণ হারিয়েছিলেন এক টেকনিশিয়ান। সেনার তরফে এরপরই বসিয়ে দেওয়া হয় হেলিকপ্টারটিকে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবেই আপাতত ধ্রুব হেলিকপ্টার ওড়ানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় সেনার শীর্ষ কর্তারা।
জানা যায়, গত ৪ মে বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের কিস্তাওয়ার এলাকায় একটি মিশনে যাচ্ছিল সেনার ধ্রুব হেলিকপ্টারটি। সেই সময় 'আপৎকালীন পরিস্থিতি'র ঘোষণা করে দ্রুত মারুয়া নদীর ধারে নেমে পড়ে হেলিকপ্টারটি। তবে সেটি মসৃণ ভাবে অবতরণ করতে পারেনি জমিতে। এই আবহে হেলিকপ্টারটি ভেঙে যায়। তাতে থাকা দুই চালক গুরুতর ভাবে আহত হন। এদিকে হেলিকপ্টারে থাকা টেকনিশিয়ানকে আর বাঁতানো সম্ভব হয়নি। নর্দার্ন কমান্ডের হেডকোয়ার্টারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত কিছু ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরই মাঝে এবার সামনে এল ২৩ এপ্রিলের সিইএমআইএলএসি রিপোর্টটি। ততাে নিরাপত্তাজনিত ত্রুটি মেটাতে আপগ্রেডের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড গত মার্চ মাসে তাদের নিজ নিজ ধ্রুব হেলিকপ্টারের বহরকে 'গ্রাউন্ড' করেছিল যান্ত্রিক গোলযোগের পর। এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনী ধ্রুব আরব সাগরে অবতরণ করতে বাধ্য হয় এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী ধ্রুব কোচি থেকে উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই অবতরণ করে। এরপর নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড নিজেদের ধ্রুব হেলিকপ্টার বসিয়ে দিয়েছিল।