রেজাউল লস্কর এবং সুতীর্থ পত্রনোবিস
চিনা সেনায় আরও বেশি সংখ্যক তিব্বতিদের নিয়োগ করতে শুরু করেছে বেজিং। লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন দ্বন্দ্বের মাঝে চিনা সেনার এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হতবাক করেছে অনেককেই। চিনের অধীনে থাকা তিব্বতি স্বশাসিত অঞ্চলে বিশেষ নিয়ো প্রক্রিয়া চালাচ্ছে চিনা সেনা। চলতি বছরের শুরু থেকেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে তিব্বতিদের সেনায় ভর্তি করানোর লক্ষ্যে গোটা তিব্বত চষে ফেলছে চিনা সেনা আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, চিনা সেনা একটি বিশেষ তিব্বতি সেনার ইউনিট গঠন করতে চাইছে। চিন যদি এটা করতে সক্ষম হয় তাহলে সেদেশে এটাই হবে প্রথম জাতি ভিত্তিক সেনা ইউনিট। তিনটি পৃথক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে চিনের এই অভিসন্ধির বিষয়ে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতে বসবাসরত তিব্বতিরা লাদাখ দ্বন্দ্বে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে চিনের এই নতুন ছক তাদের উদ্দেশে একটি বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে লাসায় নিযুক্ত চিনা সেনার আধিকারিকরা পশ্চিম তিব্বতের রুডোক শহরে যান। সেখানে গিয়ে তিব্বতিদের চিনা সেনায় ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন তাঁরা। এরপর তিব্বতের জান্ডা এবং সামদাতেও যান চিনা আধিকারিকরা। সেখানের পিএলএ ক্যাম্পেও তিব্বতিদের ভর্তি করানোর প্রক্রিয়া চালানো হয়। তিব্বতের রাজধানী লাসাতেও এরকম নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হয় বড় আকারে।
এদিকে চিনা সেনার এই কার্যকলাপের উপর নজর রেখে চলেছে ভারতীয় নিরাপত্তা আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, লাদাখের বিভিন্ন স্থানে ভারত-চিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করছে। ইতিমধ্যেই প্যাংগংয়ের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে দুই দেশই সেনা প্রত্যাহার করেছে। গোগরা এবং হটস্প্রিং নিয়ে এখনও আলোচনা জারি রয়েছে। তবে এর মাঝে চিনা সেন যেভাবে তিব্বতিদের সেনায় ভর্তি করাচ্ছে, তার উপর নজর রেখেছে নয়াদিল্লি।
এই বিষয়ে নয়াদিল্লিক এক আধিকারিক বলেন, 'লাদাখে ভারত-চিন দ্বন্দ্বের সময় সমতল থেকে আসা চিনা সেনারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তাই পাহাড়ি পরিস্থিতিতে যারা বেশি স্বচ্ছল, তাদের সেনায় ভর্তি করাচ্ছে চিন। তাছাড়া ভারতে বসবাসরত তিব্বতিদের উদ্দেশে চিন একটি বার্তা পাঠাতে চাইছে।'