ফের করোনা পরীক্ষার গতি বাড়াতে বলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এবার যেখানে ভিড় বেশি সেখানে করোনা পরীক্ষা করার নিদান দিলেন তাঁরা। অর্থাৎ ধর্মীয় স্থান থেকে বাজার পর্যন্ত এই পরীক্ষার গতিকে নিয়ে যেতে হবে বলেও রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে বলে খবর। তবে দীপাবলিতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে। তাই কেসের সংখ্যা কমেছে সাময়িক ভাবে।
সরকারি এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করার উদ্যোগ নিতে হবে। র্যান্ডাম পরীক্ষা করতে হবে যাতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। এই পরামর্শ বাধ্যতামূলক নয়, তবে রাজ্যগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোথায় পরীক্ষা, কাদের পরীক্ষা, কত গতিতে পরীক্ষা এবং কিভাবে পরীক্ষার তহবিল গড়ে তোলা হবে ইত্যাদি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৮ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৯০। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ১৬৩ জন। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ৪০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাটি ১২ হাজার ৭৭ কমেছে। দেশে এখন মোট রোগীর মধ্যে মাত্র ৫.১০ শতাংশের চিকিৎসা চলছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রান্সমিশন সাইকেলের মাধ্যমে এই সংক্রমণে ছেদ ঘটাতে হবে। একবার জায়গাটি ঠিক হয়ে গেলে সেখানের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে তাদের ১০ দিনের জন্য নজরে রাখতে হবে। যাদের উপসর্গ দেখা যাবে তাদের পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। করোনার পজিটিভ হার জানতে বারবার পরীক্ষা করতে হবে। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) চিকিৎসক ভিকে পাল বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় কাজের জায়গা থেকে সংক্রমণ বহন করে তা নিজের সম্প্রদায়ে ছড়িয়ে পড়ছে, আবার যেখানে বসবাস করা হচ্ছে সেখান থেকে সংক্রমণ বহন করে তা কাজের জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে সুপার স্প্রেডার হয়ে যাচ্ছে।’
এই পরিস্থিতি যথেষ্ঠ ঝুঁকির হয়ে পড়তে পারে। তাই ন্যাশানাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের অধিকর্তা চিকিৎসক এসকে সিং বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে করোনার পরীক্ষা বাড়িয়ে দিতে হবে। রাজ্যগুলিকে উদ্যোগ নিতে হবে অতি–ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলিতে পরীক্ষা সম্প্রসারণ করা।’