গত জুন মাসে চূড়ান্ত আশঙ্কাজনক রোগীদের উপরে পরীক্ষামূলক কোভিড ভ্যাক্সিন প্রয়োগের আগে সেই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (WHO) জানানো হয়েছিল বলে দাবি করল চিন।
শুক্রবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (NHC) এই দাবি জানানোর পাশাপাশি বলা হয়েছে, ২০২০ সালের শেষে চিনের বার্ষিক কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদন সংখ্যা ৬১ কোটি ডোজে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২১ সালে তা বেড়ে বছরে ১০০ কোটি ডোজে পৌঁছবে।
চিনের দাবি, গত ২২ জুলাই সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি, এমন রোগীদের উপরে আপৎকালীন কোভিড টিকা প্রয়োগের বিষয়টি গত ২৯ জুন WHO-কে জানানো হয়।
NHC-এর যুক্তি, চিনের টিকা নিয়ন্ত্রণ আইনে স্বাস্থ্যকর্মী, অতিমারী নিয়ন্ত্রণ বাহিনীর সদস্য, কোল্ড স্টোরেজ কর্মী, কৃষিকর্মী, গর্ভবতী, শিশু, জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও শুল্ক আধিকারিকদের মতো সংক্রমণের আশঙ্কা থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আপৎকালীন টিকা প্রয়োগ করা যায়।
এ দিন NHC-এর এক সাংবাদিক বৈঠকে চিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ সামাজিক উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধিকর্তা উ্যু ইউয়ানবিন বলেন, চিনে কোভিড ভ্যাক্সিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর দেশে ১১টি কোভিড টিকা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আওতায় রয়েছে।
চিনের তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলেছে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার চিনের বন্দরনগরী কিংদাওতে নোঙর করা দুই কর্মী কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। তাঁরা দুজনেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিদেশি হিমায়িত সামুদ্রিক খাদ্যপণ্যের সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরে তাঁদের ঘনিষ্ঠ ১৩২ জনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।