সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয়। যুবকের বাড়ি নদিয়ায়। অন্য়দিকে যুবতীর বাড়ি বাংলাদেশের নারাইল জেলায়। গত ২৬শে জুন সীমান্ত পেরনোর সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন তারা। বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার চেষ্টা। কিন্তু সীমান্তেই ধরা পড়ে যায় দম্পতি। কিন্তু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারের চেষ্টা হয়নি তো? এক বিএসএফ আধিকারিকের দাবি, পাচারকারীরা অনেক সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচার করে। পরে তাদেরকে যৌন পেশায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বিশেষ এই ঘটনায় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও অসংগতি পাওয়া যায়নি। এটা প্রকৃত অর্থেই প্রেমের ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে।
ওই দম্পতি বিএসএফকে জানিয়েছে , ফেসবুকে তাদের আলাপ হয়েছিল। এরপর তিন চারবছর ধরে ফোনেও কথাবার্তা হত। বিয়ের ব্যাপারে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্ত। এদিকে এরপর ওই যুবক বিয়ে করার জন্য় বাংলাদেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে কাগজপত্র তৈরিতে অনেক দেরি হয়ে যেতে পারে। সেকারণে তিনি এক দালালের মাধ্যমে গত ৮ই মার্চ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে যান। ১০ই মার্চ তারা বিয়ে করেন। এরপর ২৫শে জুন পর্যন্ত তারা বাংলাদেশেই ছিলেন।
এদিকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের সীমান্ত পার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল এক দালাল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সীমান্তেই ধরা পড়ে যান তারা। এদিকে যুবকটি স্কুলছুট, রাজমিস্ত্রির কাজ করে। মেয়েটি বাংলাদেশে স্নাতকস্তরে পড়াশোনা করছিল। তাদেরকে আপাতত পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে যুবকটি জামিন পেতে পারেন। তবে ভারতের নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে হোমেই থাকতে হতে । এমনটাই ধারণা পুলিশের।