অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে 'মক ড্রিল' চলাকালীন ৫ মিনিটে মারা গিয়েছিলেন অন্তত ১৬ জন করোনা রোগী। তবে যে হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে, সেই হাসপাতালকে ক্লিনচিট দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন আগরার জেলা শাসক প্রভু এন সিং। ৪ সদস্যের মৃত্যুর অডিট কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সেই রিপোর্ট তৈরি করেন প্রভু। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১৪ জনের কোমর্বিডিটি ছিল। এদিকে অভিযুক্ত হাসপাতালের মালিককে এক ভাইরাল ভিডিয়োতে বলতে শোনা গিয়েছিল যে ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সরকারি রিপোর্টে ১৬ জনেরই উল্লেখ করা হয়।
এর আগে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সিল করে দেওয়া হয়েছিল আগরার 'শ্রী পারস' নামক সেই বেসরকারি হাসপাতাল। গত ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, সেই সময় কাউকে কিছু না-জানিয়ে চুপিসারে অক্সিজেনের ভুয়ো মহড়া চালানো হয়। অক্সিজেনের সংকটের সময়ে কোন কোভিড রোগী অক্সিজেন ছাড়া থাকতে পারবেন, আর কারা পারবেন না, তা বুঝে নিতে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার জেরে এত জন রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনা নিয়ে একটি ভিডয়ো ভাইরাল হয়। এর পরই তদন্তের নির্দেশ দেয় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ভিডিয়োয় অক্সিজেন সংকট নিয়ে কথোপকথন করতে দেখা গিয়েছে হাসপাতালের ম্যানেজার তথা মালিক অরিঞ্জয় জৈন এবং ব্যক্তিকে। জৈনরে বলতে শোনা গিয়েছে, 'মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বলে দিয়েছিলেন আর অক্সিজেন পাওয়া যাবে না। আমরা পরিবারগুলিকে বোঝাতে শুরু করি। কয়েকজন কথা শোনেন। তবে অনেকেই হাসপাতাল ছাড়তে রাজি হননি। তখন ভাবি, একটা ভুয়ো মহড়া করা যাক। তাহলে আমরা বুঝতে পারব, অক্সিজেন ছাড়া কারা বাঁচবেন আর কারা বাঁচবেন না। সকাল সাতটায় এই মহড়া চালানো হয়। এ ব্যাপারে কেউ জানত না। ৫ মিনিটের মধ্যে ২২ জন রোগী মারা যান। ৫ মিনিটের মধ্যেই দেহগুলি নীল হয়ে যায়।' পরে যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন হাসপাতালের মালিক। ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।