বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ঘিরে বিতর্ক গুজরাতের স্কুলে। পশ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর জন্য অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় একটি বিষয় ছিল ‘নাথুরাম গডসে, আমার পথ প্রদর্শক’। এর জেরে গুজরাত সরকার ভালসাদ জেলার একজন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ১৯ নভেম্বর মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার দায়ে গডসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই গডসেকে নিয়েই কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা জারি থাকে। কংগ্রেস বারংবার অভিযোগ করেছে, বিজেপি ও আরএসএস নাথুরাম গডসের ভাবধারায় বিশ্বাসী। বিজেপি যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে এসেছে। এই আবহে বিজেপি শাসিত রাজ্যে এহেন ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর হওয়া স্বাভাবিক। এই পরিস্থিতিতে আগেভাগেই পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার।
সোমবার রাজ্য সরকারের যুব পরিষেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিভাগের অধীনে জেলা স্তরে প্রতিযোগিতার অংশ হিসাবে কুসুম বিদ্যালয়ে এই বিতর্কিত বক্তৃতা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে তিনটি বিষয়ের উপর বলতে বলা হয়েছিল অংশগ্রহণকারীদের – ‘আমি আকাশে উড়ে যাওয়া পাখি পছন্দ করি’, 'আমি বিজ্ঞানী হব কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাব না' এবং 'নাথুরাম গডসে, আমার আদর্শ।'
এই ঘটনা প্রসঙ্গে যুব ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি বলেন, ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ভালসাদ জেলার যুব উন্নয়ন আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই প্রতিযোগিতায় ২৫টি স্কুলের পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করেছে। স্কুলের একজন ট্রাস্টি বিবেক দেশাই সাংবাদিকদের বলেছেন যে কুসুম স্কুলটি শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল এবং অনুষ্ঠানের বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এদিতে ঘটনায় দায় এড়িয়েছে রাজ্য সরকারও। এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই মহাত্মা গান্ধীর নাতি তুষার গান্ধী টুইট করে লেখেন, ‘খুনিরা ভারতের নতুন নায়ক।’